২০২১ সালে মাদককাণ্ডে নাম জড়ায় আরিয়ান খানের। সেসময় শাহরুখ খানের পুত্রকে কম কটাক্ষের শিকার হতে হয়নি। ফের বিতর্কের শিরোনামে আরিয়ান। এবার তাঁর বিরুদ্ধে জনসমক্ষে অশালীন ভঙ্গিমার অভিযোগ উঠল।
সম্প্রতি বেঙ্গালুরুর একটি অভিজাত পাবে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতে গিয়েছিলেন আরিয়ান। সেখানেই তাঁর ক্যামেরাবন্দি মুহূর্ত সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায়, আরিয়ান ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে অকপটে 'মিডল ফিংগার' দেখাচ্ছেন। ভিডিওটি ঝড়ের গতিতে ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে, শুরু হয় তীব্র সমালোচনা।
এই ঘটনা ঘটে ২৮ নভেম্বর রাতের দিকে, অশোকনগর থানার অন্তর্গত একটি জনপ্রিয় পাবে। সূত্রের খবর, এটি ছিল একটি ‘প্রাইভেট গ্যাদারিং’। আরিয়ানের সঙ্গে ছিলেন কয়েকজন প্রভাবশালী বন্ধু। বেঙ্গালুরু ডেভেলপমেন্ট অথরিটির চেয়ারম্যানের ছেলে নালাপাদ এবং কর্নাটকের এক মন্ত্রীর ছেলে জায়েদ খান। তাঁদের সঙ্গে হাসি-আড্ডায় মেজাজ জমে উঠেছিল ঠিকই, কিন্তু সেই মুহূর্তের একটি অংশ ক্যামেরায় ধরা পড়তেই তোলপাড় শুরু হয় নেটদুনিয়ায়।
নেটিজেনরা রীতিমতো ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান। অনেকেই প্রশ্ন তোলেন,সেলেব্রিটি হওয়ার কারণে আরিয়ান কি সবসময় আইন-শৃঙ্খলার বাইরে থেকে যাবেন? কেউ কেউ লিখেছেন, “একজন সাধারণ যুবক যদি প্রকাশ্য স্থানে এমন অশালীন অঙ্গভঙ্গি করত, তাহলে পুলিশ কি ছাড় দিত?” আবার কেউ সরাসরি বেঙ্গালুরু পুলিশকে ট্যাগ করে আরিয়ানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তুলেছেন।
এরই মধ্যে পুরনো বিতর্কও সামনে এসেছে। একুশ সালে নারকোটিক্স মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে এক মাস মন্নত ছেড়ে জেলে রাত কাটাতে হয়েছিল আরিয়ানকে। সেই ঘটনার ছায়া এখনও পুরোপুরি মুছে যায়নি। ফলে এই নতুন ভিডিও আবারও তাঁর আচরণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। একইভাবে তাঁর সঙ্গে থাকা নালাপাদের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের একটি মামলার অভিযোগ রয়েছে, যা বিতর্ককে আরও ঘনীভূত করছে।
বর্তমানে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রায় দু'ভাগে বিভক্ত নেটাগরিকরা। একদল বলছেন, একটি ব্যক্তিগত জমায়েতে-এর ভিডিও বাইরে এসেছে, তাই বিষয়টিকে অতিরঞ্জিত করা ঠিক নয়। অন্যদিকে,বহু নেটিজেন মনে করছেন, একজন সেলেব্রিটির প্রতিটি কাজই জনসম্মুখে উদাহরণ সৃষ্টি করে, তাই এমন আচরণ ক্ষমার যোগ্য নয়।
সব মিলিয়ে একটি কয়েক সেকেন্ডের ভিডিওই আরিয়ান খানকে আবারও বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে এনে দিয়েছে। শাহরুখ খানের পরিবারের ওপরও এই ঘটনা নতুন চাপ সৃষ্টি করেছে বলে মনে করছেন অনেকেই। বেঙ্গালুরু পুলিশের পক্ষ থেকে এখনও এবিষয়ে কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হয়নি। দায়ের হয়নি কোনও এফআইআর।
