কয়েক মাস আগের ঘটনা। ভয়ঙ্কর হামলার মুখে পড়েন অভিনেতা সইফ আলি খান। সেই আতঙ্ক এখনও তাড়া করে পটৌডি পরিবারকে। রাখিবন্ধনের দিন দাদাকে নিয়ে করা বোন সাবা আলি খানের পোস্টেও থাকল সেই রেশ।
ইনস্টাগ্রামে সইফের সঙ্গে একটি পুরনো ছবি শেয়ার করেন সাবা। লেখেন, 'রাখিবন্ধনের শুভেচ্ছা। জানি, বড় হয়ে ওঠার সময় আমরা দু'জন একে অপরের থেকে খুব আলাদা ধরনের জীবনযাপন করেছি। এখন আমরা কাজ নিয়ে ব্যস্ত। কিন্তু তার মধ্যেও আমরা সুন্দর কিছু মুহূর্ত কাটানোর সুযোগ পেয়েছি। তোমায় আমি খুব ভালবাসি। সব সময় তোমার পাশে আছি। জানি, তুমিও আমার সঙ্গেই আছো। আমার প্রার্থনা তোমাকে রক্ষা করবে। তোমার নিরাপত্তা নিয়ে খুব চিন্তা হয়। এই উন্মত্ত পৃথিবীতে কোনও কিছুই আগে থেকে আঁচ করার উপায় নেই। আমি চাই তোমার খুব ভাল হোক, আজ এবং সময়।'
সাবা ক্রিকেটার মনসুর আলী খান পতৌদি এবং অভিনেত্রী শর্মিলা ঠাকুরের দ্বিতীয় সন্তান। এবং জনপ্রিয় বলিউড অভিনেতা সইফের বোন এবং অভিনেত্রী সোহা আলি খানের দিদি। পটৌদি পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের পদাঙ্ক অনুসরণ করেননি সাবা। আলোকবৃত্তের বাইরে জীবন কাটাতেই পছন্দ করেন শর্মিলা-কন্যা। পেশায় তিনি একজন গয়না ডিজাইনার। ইনস্টাগ্রামে তিনি বেশ সক্রিয়। পটৌডি পরিবারের নানা অদেখা ছবি এবং মুহূর্ত অনুরাগীদের সঙ্গে ভার করে নেন।
আরও পড়ুন: শুটে যাওয়ার পথে রোজ দেখা! বৃহন্নলা 'দিদি'রা রাখি বাঁধলেন 'ভাই' গৌরবের হাতে, আপ্লুত অভিনেতা
শুধু সইফকে শুভেচ্ছা জানিয়েই থেমে যাননি সাবা। ভগ্নিপতি অভিনেতা কুণাল খেমু এবং বাকিদের উদ্দেশ্যে তিনি লেখেন, 'কমল, আমার আরেক ভাই, তুমি একটা রত্ন। তোমার সঙ্গে প্রতিটি মুহূর্তকে আর আমি মূল্যবান মনে করি। কুনাল কেম্মু — তোমায় নিয়ে আমি। খুবই গর্বিত। তুমি এমন একজন যাকে ভাই হিসাবে পেয়ে আমি রোমাঞ্চিত! আর আমার প্রিয় তুতো ভাইয়েরা... তোমরা সবাই অসাধারণ!'
বোন সোহা এবং বৌদি করিনা কাপুর খানের উদ্দেশ্যে সাবা লেখেন, 'সোহা বেবো... বোন হিসাবে তোমরা সেরা। তোমাদের দু'জনকেই খুব ভালোবাসি!'
চলতি বছরের জানুয়ারিতে সঙ্কটের ছায়া নেমে এসেছিল পটৌডি পরিবারে। গভীর রাতে বান্দ্রা এলাকায় সইফের বহুতল আবাসনে চড়াও হয়েছিল দুষ্কৃতী। তার সঙ্গে হাতাহাতি বাধে বলি-তারকার। সেই সময় সইফের শরীরের একাধিক জায়গায় কোপ বসানো হয়। জানা যায়, অভিনেতার শরীরে ছ’টি ক্ষত ছিল। দুষ্কৃতী পালিয়ে যাওয়ার পর মুম্বইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে দ্রুত নিয়ে যাওয়া হয় সইফকে।
আরও পড়ুন: প্রাণনাশের ভয়! কাজে একের পর এক বাধা! ফের পুরনো 'প্রেম'কে ফেরাতে চান সলমন, আশার খবর
সিসিটিভি ফুটেজ দেখার পরে থেকেই গোটা মুম্বই জুড়ে প্রায় চিরুনিতল্লাশি শুরু করেছিল মুম্বই পুলিশ। শেষমেশ পুলিশের জালে ধরা পড়ে সইফের উপর হামলার অন্যতম আততায়ী। বান্দ্রা রেলওয়ে স্টেশনে তল্লাশির সময়েই তার খোঁজ পায় পুলিশ। সেই সময় খানিক ইতস্তত করেই প্ল্যাটফর্মের এদিক ওদিক সে ঘুরে বেড়াচ্ছিল। তাঁর গতিবিধি দেখে সন্দেহ হতেই এগোয় পুলিশ। এরপরেই আটক। এই ঘটনার পর থেকেই আরও সাবধানী পটৌডি পরিবার। তাঁদের নিরাপত্তাও বাড়িয়ে দেওয়া হয়।
