নিজস্ব সংবাদদাতা: বসন্ত এসে গেছে। দোল উৎসবে মেতে উঠেছেন প্রায় সকলে। জমে উঠেছে দোল। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি তারকারাও জমিয়ে দোল খেলেন। শহরে থাকলে প্রতি বছর ধুমধাম করে দোল উৎসবে মেতে ওঠেন টলিউডের অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। ঋতুর বাড়ির ছাদেই বসে আসর। সেখানে হাজির হন টলিপাড়ার পরিচিত বাসিন্দারা। নাচ-গানের পাশাপাশি চলে কবজি ডুবিয়ে খাওয়া দাওয়া। কিন্তু এবারের দোল সম্পূর্ণ অন্যরকম অভিনেত্রীর কাছে। এই প্রথম পাশে মা নেই। গত বছর নভেম্বরে প্রয়াত হয়েছেন অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের মা নন্দিতা সেনগুপ্ত। তাই মন খানিক বিষণ্ণ-ই তাঁর। জানালেন, দোল- ও খেলছেন না এ বছর।  

 

এদিন সমাজমাধ্যমে করা একটি পোস্টে অভিনেত্রীর সেই বিষণ্ণতা, নিঃসঙ্গতা-ই যেন ফুটে উঠল। তাঁর মা'কে নিয়ে সেই লেখার প্রতিটি লাইন থেকে চুইয়ে পড়ল যন্ত্রণা।  প্রয়াত মা-এর উদ্দেশ্যে প্রথমে দোলের শুভেচ্ছা জানালেন ঋতুপর্ণা। তারপর লিখলেন, " হ্যাপি হোলি মা। শুভ দোল পূর্ণিমা। প্রথম দোল তোমাকে ছাড়া।...এই প্রথম দোল উৎসবের দিনে তোমার পা ছুঁয়ে প্রণাম করতে পারলাম না, তোমার গালে লাগাতে পারলাম না রং...যা তোমার ভীষণ পছন্দের ছিল...এ বছর আর তোমার হাতের সত্যনারায়ণের সিন্নি পাওয়া হবে না....দোলের সবথেকে প্রিয় জিনিস ছিল আমার কাছে। অসুস্থ শরীর নিয়েও কীভাবে রান্নাঘরে ঘন্টার পর ঘন্টা নিজের হাতে সেসব তৈরি করতে।  এবছর দোল তোমাকে ছাড়া কেমন একটা ছন্নছাড়া লাগছে। তোমাকে বড্ড মিস করছি। তোমাকে সবসময়ই মিস করি। আর সারাজীবন করব। তুমি ভাল থেকো মা।"

 


মায়ের শারীরিক অসুস্থতার কথা আগেই জানিয়েছিলেন অভিনেত্রী। শেষ ১৫ দিন রাখা হয়েছিল ভেন্টিলেশন সাপোর্টে। ঘনিষ্ঠসূত্রে খবর, কিডনিতে সমস্যা পাশাপাশি বার্ধক্যজনিত কারণেই প্রাথমিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তিনি। মায়ের অসুস্থতার কারণে গত বছর বাড়িতে ভাইফোঁটার আয়োজনও করেননি ঋতুপর্ণা। মায়ের মৃত্যুতে স্বাভাবিক ভাবেই মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছিলেন ঋতুপর্ণা। সেই সময় অভিনেত্রীর পাশে ছিলেন তাঁর ভাই। স্বামী সঞ্জয় চক্রবর্তী মেয়ে ঋষণাকে নিয়ে সিঙ্গাপুর থেকে চলে এসেছিলেন কলকাতায়।