নিজস্ব সংবাদদাতা: জীবনের নয়া ইনিংস শুরু করলেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেতা, সঙ্গীতশিল্পী তাহসান রহমান খান। মিথিলার সঙ্গে বিচ্ছেদের প্রায় আট বছর পর দ্বিতীয়বার বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হলেন তিনি। পাত্রী রূপটান শিল্পী রোজা আহমেদ। গত ৪ জানুয়ারি, শনিবার রাতে নবদম্পতির সাজে রোজার সঙ্গে নিজের একটি ছবি পোস্ট করে এই সুখবর দিলেন স্বয়ং তাহসান! ছবির সঙ্গে ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, “কোনও এক ছুটির দিনে যখন আমি পিয়ানোতে/আমার সুরে নাচের মুদ্রায়, সেই তুমি কে? যার ছন্দের মুগ্ধতায় কেটে যাবে বাকিটা জীবন/ ধোঁয়া ওঠা চায়ের কাপে, সেই তুমি কে?” বিয়ের ছবি প্রকাশ্যে আসতেই নবদম্পতিকে সমাজমাধ্যমে শুভেচ্ছা জানিয়েছে নেটপাড়া।
সম্প্রতি এক সাংবাদিক বৈঠক ডেকেছিলেন তাহসান। সেখানে তাঁকে জিজ্ঞেস করা হয়, বিয়ের পর অনুভূতিটা ঠিক কেমন? শোনামাত্রই হাসির রোল ওঠে বৈঠকে। হাসি চাপতে পারেননি তাহসান নিজেও। এরপর হাসিমাখা মুখেই তিনি জানান, “বিয়ের পর অনুভূতি? আচ্ছা। এর জবাব অনেকভাবেই দেওয়া যায়। আসলে, আমাদের দেশের মানুষের রসবোধটা অন্যদের থেকে একটু আলাদা। আমরা সবকিছুতে মজা খুঁজে পাই না। পেলেও তা ঠিক মতো অন্যদের কাছে পৌঁছে দিতে পারি না। কারণ জাতিগতভাবে আমরা মনে হয় যেকোনও বিষয় একটু বেশি-ই কাটাছেঁড়া করি। অনেক দেশেই দেখবেন স্ট্যান্ড-আপ কমেডি হয়। আমাদের দেশে কিন্তু সেসব হয় না। এই কারণে এই প্রশ্নের জবাবটা যেভাবে মজা করে দেওয়ার ইচ্ছে ছিল, তা পারব না। তবে ওকে বিয়ে করার অনুভুতিটা অসাধারণ। আশীর্বাদের মতো।”
এরপর সামান্য থেমে নিজস্ব ছন্দে তাহসান ফের বলে ওঠেন, " তাছাড়া এই বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি কিছু বলে তা চর্চার বিষয়ে আনতে চাই না। তারকা তকমার বাইরে আমি একজন সাধারণ মানুষ। বিষয়টি অত্যন্ত ব্যক্তিগত। তবে এটুকু বলব আমি সৌভাগ্যবান। মনের মত একজন সঙ্গিনী পেয়েছি, যে পাশে থাকলে আমার মুখে হাসি থাকে। তাই, ভীষণ খুশি আমি। বিয়ে করেছি, অনুরাগীদের জানাব ভেবেই রেখেছিলাম তাই জানালাম।” এরপর মিথিলার প্রাক্তনের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ভেসে আসে, যাঁর এত নারী-অনুরাগী তিনি কি দেখে রোজা আহমেদর প্রেমে পড়লেন? রোজা-র কোন স্বভাবটা তাঁকে সবথেকে মুগ্ধ করে? আকর্ষণ করে? মৃদু হেসে তাহসানের জবাব, “দেখুন, এগুলো তো অত্যন্ত ব্যক্তিগত বিষয়। ক্যামেরার সামনে সেসব বলা রুচিশীল নয়। কেন রোজার প্রেমে পড়েছি, কেন তাঁকে ভালবাসি এগুলো আমাদের অত্যন্ত ব্যক্তিগত ব্যাপার।এখন চারপাশেই নেতিবাচক ভাবনা ঘোরাফেরা করছে। আমাদের দেশে একটু বেশি-ই।”
