বিয়ের ঠিক মুখেই স্মৃতি মান্ধানার বাবা গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে ভর্তি করানো হয় হাসপাতালে। এর মধ্যেই ভাইরাল হয় পলাশ মুচ্ছলের একটি চ্যাট। বিয়ের আগে এক মহিলার সঙ্গে সাঁতার কাটার ইচ্ছেপ্রকাশ দেখে চক্ষু চড়কগাছ হয় নেটপাড়ার। আর এসবের মাঝেই হঠাৎ করেই জানা যায়, অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন হবু বর পলাশও। সেখান থেকেই শুরু হয় জল্পনা। তবে কি সবটাই নাটক? ধরা পড়ে যাওয়ার পর, নজর ঘোরানোর জন্য এই অসুস্থতাটা কি নাটক? নাকি সত্যিই অসুস্থ হয়েছেন পলাশ মুচ্ছল? এবার সেটা প্রকাশ্যে আনলেন তাঁর চিকিৎসক।
বুকে যন্ত্রণা নিয়ে পলাশ হাসপাতালে ছুটে গিয়েছিলেন। ভর্তি নিয়ে নেওয়া হয় তাঁকে। কদিন ভর্তিও থাকার পর জানা যাচ্ছে শীঘ্রই ছেড়ে দেওয়া হবে তাঁকে। বর্তমানে স্থিতিশীল আছেন বলিউডের জনপ্রিয় গায়ক। কিন্তু তাঁর হয়েছিল কী? হাসপাতালের তরফে যে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে তাতে জানানো হয়েছে অতিরিক্ত স্ট্রেসের কারণেই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন পলাশ।
চিকিৎসক দীপেন্দ্র ত্রিপাঠি, যিনি পলাশ মুচ্ছলের চিকিৎসা করছিলেন তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, 'অতিরিক্ত চাপের কারণেই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন পলাশ। হার্টের কোনও সমস্যা ছিল না তাঁর।' অসম্ভব বুকে যন্ত্রণা, শ্বাসকষ্ট এবং অস্বস্তি নিয়ে প্রথমে স্মৃতির বাড়ির কাছের এক হাসপাতালে যান তিনি। কিন্তু সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর, গায়কের স্বাস্থ্যের উন্নতি না হওয়ায় তাঁকে তড়িঘড়ি মুম্বই ফিরিয়ে আনা হয়। ভর্তি করানো হয় হাসপাতালে। চলে ইসিজি, ২ডি ইকোকার্ডিওগ্রাফি, ইত্যাদির মতো পরীক্ষা। সেখানে কিছু প্যারামিটার একটু কম বেশি থাকলেও, হার্টের কোনও গুরুতর সমস্যা ধরা পড়েনি বলেই জানানো হয়েছে চিকিৎসকদের তরফে। অক্সিজেন থেরাপি সহ অন্যান্য চিকিৎসা চলছে তাঁর। আপাতত চিকিৎসকদের নজরদারিতে আছেন তিনি। তবে শীঘ্রই ছেড়ে দেওয়া হবে।
অন্যদিকে যে ভাইরাল চ্যাট নিয়ে এত কিছু সেই মেরি ডি'কস্টা অবশেষে মুখ খুললেন। সম্প্রতি তিনি ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্ট করে জানান তিনি পলাশকে কখনও সামনাসামনি দেখেননি! জানান এই বছরই মাত্র এক মাস তাঁদের কথপোকথন হয়েছে। সেই বিষয়ে মেরি জানান, 'আমাদের প্রথম কথা হয় ২৯ এপ্রিল, ২০২৫। আর শেষ কথা ৩০ মে ২০২৫। মাত্র একমাস যোগাযোগ ছিল। আমি সবাইকে স্পষ্ট করে বলতে চাই ওঁর সঙ্গে আমার কখনও দেখা হয়নি। আমার সঙ্গে ওঁর কোনও, কখনও সম্পর্ক ছিল না।' তিনি এদিন এও জানান, 'অনেকে জিজ্ঞেস করছেন, আমি কেন এখন এটা প্রকাশ্যে আনলাম? কিন্তু সত্যিটা হল, আমি জুলাই মাসে ওঁর সত্যি ফাঁস করেছিলাম। কিন্তু তখন কেউ জানত না, উনি কে, তাই কেউ পাত্তা দেননি। আমি বলে দিই, আমি সেই কোরিওগ্রাফার নই, ওঁর সঙ্গে আমার কোনও সম্পর্ক ছিল না। আমি এটা জানালাম কারণ, মানুষ সব গুলিয়ে ফেলছেন। আর ভুল জিনিস তাঁরা ধরেন নিন, সেটা চাই না।'
