সংবাদ সংস্থা মুম্বই: বলিউড অভিনেতা সুনীল শেট্টির সাম্প্রতিক মন্তব্যে রীতিমতো ফুঁসছে নেটদুনিয়া। মেয়ের ‘ন্যাচারাল ডেলিভারি’-র অভিজ্ঞতা নিয়ে গর্ব করতে গিয়ে তিনি বলেছেন— “আজকের দিনে সবাই আরাম চায়, সবাই সিজার করে বাচ্চা নেয়। অথচ আথিয়া তা করেনি, ও নিজের শরীর দিয়ে পুরো প্রক্রিয়াটা পার করেছে। নার্স, ডাক্তার—সবাই বলছিল, এটা অবিশ্বাস্য!”

 

এই বক্তব্য সামনে আসতেই সমজামধ্যমে উঠেছে তুফান! একজন নেট ব্যবহারকারী তো একেবারে খোলা গলায় বলে বসেছেন- “তোমার তো যোনিপথ ফাটেনি ভাই, তাহলে এই বিষয়ে মতামত কে চাইল?” আরেকজনের কটাক্ষ, “ সিজারকে আরামদায়ক বলছেন! গাঁজা টানছেন নাকি উনি? উনি যেটা খাচ্ছেন, আমিও সেটা তাহলে খেতে চাই!”

 

কেউ লিখেছেন— “সিজার হয় আরামে নয়, দরকারে। মা আর শিশুকে বাঁচাতেই এই অপারেশন করতে হয়। এটা এক ধরনের সার্জারি, ছেঁড়া যায়, সেলাই যায়, সেই ক্ষত সারে না সহজে।”

 

এক মহিলা লিখলেন—“ওঁর মেয়ের জন্য তো একাধিক সহকারী আছেন—ন্যানি, কুক, হেল্পার সবই আছে। সাধারণ নারীদের মতো নয়, যাঁদের সিজারিয়ান সেকশানের পরে একা-হাতে নবজাতক সামলাতে হয়।” আরও কেউ কটাক্ষ করেছেন, “তাহলে বুঝি যন্ত্রণা না পেলে মা হওয়ার যোগ্যতা নেই? নারীকে ‘স্ট্রং’ বলার মানে কি কেবল ব্যথা সহ্য করাটাই?”, “দয়া করে পরের বার ‘মা হওয়ার শর্তাবলি’ একটা ভিডিও বানিয়ে দিন স্যার!”

 

সুনীল অবশ্য মেয়ের প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিলেন— “আথিয়া একবারও মুখ কুঁচকায়নি, ক্লান্ত বা বিরক্ত হয়নি। ও একদম প্রস্তুত ছিল। একজন বাবা হিসেবে আমি মুগ্ধ।”

উল্লেখ্য, ২০২৩-এর জানুয়ারিতে ক্রিকেটার কেএল রাহুলের সঙ্গে বিয়ে হয় আথিয়া শেট্টির। আর ২০২৪-এর ২৪ মার্চ জন্ম নেয় তাঁদের কন্যাসন্তান—নাম রাখা হয়েছে এভারাহ।