টলিপাড়ায় রোজই নানা গুঞ্জন চলতেই থাকে। তবে এখন বড্ড জোরালো হয়েছে অভিনেতা নীল ভট্টাচার্য ও অভিনেত্রী তৃণা সাহার বিচ্ছেদের গুঞ্জন। কয়েকদিন ধরেই কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে, বহুদিন থেকেই আলাদা থাকেন নীল-তৃণা। তবে এবার নাকি পুরোপুরিই আলাদা হচ্ছে তারকা দম্পতির পথ। 

 

 

দু'জনকেই দেখা যাচ্ছে স্টার জলসার দুটি ধারাবাহিকে। তৃণাকে দেখা যাচ্ছে 'টিআরপি টপার' মেগা 'পরশুরাম'-এ। অন্যদিকে, নীলকে দেখা যাচ্ছে 'ভোলেবাবা পার কারেগা'য় মধুমিতা সরকারের বিপরীতে। তবে এখষ শুটিং থেকে কয়েকদিনের বিরতি নিয়েছেন নীল। অভিনেতা পাড়ি দিয়েছেন ভিয়েতনামে। কিন্তু বিদেশের মাটিতে একাই গিয়েছেন তিনি, সঙ্গে নেই তৃণা। তাই জুটির বিচ্ছেদের গুঞ্জন আরও জোরালো হয়েছে টলিপাড়ায়। 

 

সম্প্রতি, নীল সমাজমাধ্যমে দিয়েছেন এক ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট। একটি ভিডিও ভাগ করেছেন তিনি, যেখানে দেখা যাচ্ছে একটি কম বয়সী যুগল বসে রয়েছে। তার ঠিক কিছুক্ষণ পরেই দেখা যায়, নিজেদের মধ্যে আলাপে ডুবে এক বৃদ্ধ যুগল। নীল এই ভিডিওটি ভাগ করে লিখেছেন, 'আমি চাই তোমার গল্পটা যেন এভাবেই শেষ হয়।' 

 

 

ভিডিওর মাধ্যমে নীল বোঝাতে চেয়েছেন, দুটি মানুষ তাঁদের জীবনের শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত যেন ভালবেসে একে অপরের পাশে থাকেন সেটাই তিনি চান‌। নীলের এই পোস্টের মাধ্যমে আবারও নেটপাড়ায় ভেসে এসেছে নানা মন্তব্য। তবে কি বিচ্ছেদের গুঞ্জনের মাঝেই ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট দিলেন অভিনেতা? কী বোঝাতে চাইলেন? তৃণার সঙ্গেই শেষ জীবনটা কাটাতে চান? নাকি তাঁদের গল্পটাও এরকম হতে পারত! যা আজ আক্ষেপের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে অভিনেতার কাছে? যদিও নেটপাড়ায় এ নিয়ে আলোচনা চললেও মুখে কুলুপ এঁটেছেন নীল-তৃণা‌।

 


প্রসঙ্গত, যে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে একসময় নিজেদের প্রেমের গল্পের অসংখ্য রঙিন অধ্যায় সাজিয়ে রাখতেন নীল–তৃণা, সেই জায়গাতেই এবার নীরব দুরুত্ব স্পষ্ট। হঠাৎ করেই দু’জনেই একে অপরকে ‘আনফলো’ করেছেন। সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে এই একটি পদক্ষেপই অনেক কিছু বলে দেয়—প্রায়ই সম্পর্কের সমীকরণ বদলে যাওয়ার ইঙ্গিত হিসেবে দেখা হয় এটিকে। তার উপর, বহুদিন ধরেই একে অপরের সঙ্গে নতুন কোনও ছবি নেই তাঁদের প্রোফাইলে। সব মিলিয়ে, নেটিজেনদের জল্পনা আরও তীব্র হয়েছে—তাহলে কি সত্যিই শেষের পথে নীল–তৃণার সংসার?

 


আজকাল ডট ইন-এর পক্ষ থেকে নীলের কাছে তাঁদের বিচ্ছেদের জল্পনা নিয়ে প্রশ্ন রাখা হলে তাঁর উত্তর, “আমি এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাই না।” নায়কের কথাতেই পরিষ্কার—ব্যক্তিগত জীবনে ঝড় উঠেছে কি না, সে বিষয়ে তিনি স্পষ্ট স্বীকারোক্তি দেননি ঠিকই, তবে সরাসরিও অস্বীকার করেননি।