আগের দিন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় দেখতে গিয়েছিলেন তাঁকে। এবার ‘দাদা’র মা নিরূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ সারলেন মিঠুন চক্রবর্তী। সোমবার হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন পদ্মভূষণ সম্মানে সম্মানিত প্রবীণ তারকা। চত্বর ছাড়ার আগে ‘মহাগুরু’ পৌঁছে গেলেন তাঁর পাশের ঘরে। দেখা করলেন নিরূপা দেবীর সঙ্গে। শরীর-স্বাস্থ্যের খোঁজ নেন। একই সঙ্গে দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন।

রবিবার সকালে ‘দাদা’ মাকে দেখতে গিয়েছিলেন শহরের প্রথম সারির হাসপাতালে। সেখানেই পাশের ঘরে মিঠুন ভর্তি হয়েছিলেন শনিবার। সেই খবর সৌরভের কানে গিয়েছিল। সঙ্গে সঙ্গে তিনি পৌঁছে যান ‘মহাগুরু’র কাছে। সেখান থেকে বেরিয়ে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন। আশ্বস্ত করে বলেন সবাইকে, ‘‘মিঠুনদা ভাল আছেন। খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যাবেন।’’ তখনই জানান, তাঁর মায়ের পাশের ঘরে রয়েছেন তিনি। চিকিৎসা চলছে দু’জনের। মাকে দেখার পরে তাই তারকা অভিনেতাকে দেখতে গিয়েছিলেন তিনি। কথাও হয়েছে তাঁদের মধ্যে। যা দেখে ভাল লেগেছে সৌরভের। কারণ, তাঁর সঙ্গে ‘মহাগুরু’র সম্পর্ক বহু বছরের পুরনো।

বেসরকারি হাসপাতালের সামনে সোমবার সকাল থেকে সাংবাদিকদের ভিড়। কালো টুপিতে মাথা ঢেকে, গায়ে সাদা চাদর জড়িয়ে, রোদচশমায় চোখ ঢেকে তিনি বড় ছেলে মিমোকে সঙ্গে নিয়ে বেরিয়ে আসেন। তাঁদের ঘিরে নিরাপত্তীরক্ষীদের বলয়। অপেক্ষারত সাংবাদিকদের তাঁরা সরিয়ে দিতে চাইলে সঙ্গে সঙ্গে বাধা দেন তিনি। বলেন, ‘‘আজ ওঁদের দিন। ওঁরা থাকবেন। আজ আপনারা পিছনে সরে যান।’’ পাশে রাখেন মিমোকে। তারপরেও চওড়া হেসে জানান, ভাল আছেন তিনি। সব ঠিক আছে। আর কোনও সমস্যা নেই।

তারপরেই বলেন, ‘‘আমি খেতে ভালবাসি। যা মুম্বই বা বেঙ্গালুরুতে পাই না সেটাই কলকাতায় এলে চেটেপুটে খাই। এই খাওয়াই আমার বড় শত্রু। অতিরিক্ত খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলাম।’’ তখনই তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানান, তাদের মাধ্যমে তিনি সবাইকে এই বার্তা দিতে চান, সব বয়সেই খাওয়ার পরিমাণ যেন নিয়ন্ত্রণে থাকে। অতিরিক্ত খাওয়া ভাল নয়। পাশাপাশি, যাঁদের ডায়াবেটিস তাঁরা মিষ্টি না খেলেই ভাল থাকবেন এমন ভাবাও ভুল। যে কোনও সময় ডায়াবেটিস সমস্যা তৈরি করতে পারে। আর ইনসুলিনকে কেউ যেন ভয় না পান। এটি শরীর সুস্থ থাকতে যথেষ্ট সহযোগিতা করে।