আজকাল ওয়েবডেস্ক: একসময় অভিনয় করেছেন সলমন - শাহরুখের বিপরীতে। ‘করণ অর্জুন’ থেকে ‘সবসে বড়া খিলাড়ি’, বেশ কিছু সফল ছবিতে অভিনয় করে বলিপাড়ার প্রথম সারির নায়িকাদের তালিকায় জায়গাও করে নিয়েছিলেন মমতা কুলকার্নি। কিন্তু সেই সাফল্য বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। অচিরেই প্রচারের আলো থেকে হারিয়ে যান অভিনেত্রী। সম্প্রতি সেই মমতাই কুম্ভমেলাকে কেন্দ্র করে ফের একবার শিরোনামে উঠে আসেন। ‘কিন্নর আখড়া’ নামক একটি সংগঠনে যোগ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন তিনি। এমনকি ‘মহামণ্ডলেশ্বর’ পদও দেওয়া হয় তাঁকে। কিন্তু অভিনয় জীবনের মতোই এখানেও হোঁচট। তাঁর সন্ন্যাসিনী হওয়ার কথা প্রচার হতেই একের পর এক অভিযোগ ওঠে। বিতর্কের মুখে আখড়া থেকে বহিষ্কার করা হয় তাঁকে। এ বার সেই সব অভিযোগ নিয়ে মুখ খুললেন অভিনেত্রী নিজেই।
একটি হিন্দি সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মমতা নিজের উপর ওঠা সব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি কি ‘মহামণ্ডলেশ্বর’ হওয়ার জন্য ১০ কোটি টাকা ঘুষ দিয়েছেন? এই প্রশ্নের জবাবে মমতা বলেন, “১০ কোটি টাকা তো দূর। আমার কাছে এক কোটি টাকাও নেই। আমার সব ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা হয়েছে। আমি কেবল দু’লক্ষ টাকা ধার করে আমার গুরুকে দক্ষিণা দিয়েছি।” এক সিবিআই আধিকারিক তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেছিলেন বলেও দাবি করেন অভিনেত্রী। এমনকি নিজের তিন তিনটি বাড়ি থাকলেও কোনও বাড়িই গত ২৩ বছরে ব্যবহার করেননি বলে জানান তিনি।
মমতা নব্বইয়ের দশকে একটি পত্রিকার জন্য অর্ধনগ্ন ফটোশ্যুট করে শোরগোল ফেলে দিয়েছিলেন। সেই ঘটনা নিয়েও এ দিন মুখ খোলেন অভিনেত্রী। মমতা বলেন, “যখন ওই ফটো তোলা হয়েছিল তখন আমি যৌনতা সম্পর্কে কিছুই জানতাম না। আমি নগ্নতা সম্পর্কেও অবগত ছিলাম না। গত ২৩ বছরে আমি পর্নোগ্রাফি পর্যন্ত দেখিনি।”
ফের প্রচারের আলোয় আসতেই তিনি ধর্মগুরু সাজার চেষ্টা করছেন, এমনকি আগামী দিনে চলচ্চিত্রের দুনিয়ায় ফিরেও আসতে পারেন। এহেন অভিযোগ শুনে মমতা জানান, দুধ যেমন একবার ঘি হয়ে যাওয়ার পর আর আগের অবস্থায় ফিরে যেতে পারে না, তেমনই তিনিও আর কোনও দিন ছবির দুনিয়ায় ফিরবেন না। “ইনস্টাগ্রামে আমার বহু ভক্ত আমাকে বলেছেন করণ অর্জুনের সিক্যুয়েলে অভিনয় করতে। কিন্তু আমি আর ছবি না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তাই ফেরার প্রশ্নই ওঠে না।” বলেন অভিনেত্রী।
