মালয়ালম ইন্ডাস্ট্রিতে শোকের ছায়া। প্রয়াত হয়েছেন কিংবদন্তি দক্ষিণী তারকা মোহনলালের মা শান্তাকুমারী। মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) কোচির এলামাক্কারায় অভিনেতার বাড়িতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। বয়স হয়েছিল ৯০ বছর। মায়ের অসুস্থতার খবর পেয়ে তৎক্ষণাৎ তাঁর কাছে ছুটে যান অভিনেতা। পরে অমৃতা হাসপাতালে চিকিৎসকেরা তাঁর প্রয়াণের খবর নিশ্চিত করেন। দীর্ঘদিন ধরেই স্নায়ুজনিত অসুস্থতায় ভুগছিলেন তিনি।

 

 

মোহনলাল ও তাঁর মায়ের সম্পর্ক সবসময়ই ছিল গভীর, আবেগে মোড়া। অভিনেতা বহু সাক্ষাৎকারে বলেছেন, পর্দায় তাঁর চরিত্রকে আঘাত করা বা কষ্ট পেতে দেখলেই আবেগে ভেঙে পড়তেন তাঁর মা। কেরিয়ারের প্রথম দিকে যখন একাধিক খলচরিত্রে অভিনয় করতেন লালেট্টান, তখন তাঁর মায়ের পক্ষে প্রায়ই  সেই দৃশ্য দেখা কঠিন হয়ে পড়ত। চলতি বছর মাতৃ দিবসে নিজের মায়ের সঙ্গে একটি পুরনো ছবি শেয়ার করেছিলেন অভিনেতা, যা ভক্তদের কাছে ছিল এক বিরল ব্যক্তিগত মুহূর্তের ঝলক।

 

এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই শোকের ছায়া নেমে আসে দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রিতে। খবর পাওয়ামাত্র দীর্ঘদিনের বন্ধু ও সহ-অভিনেতা মম্মুটি স্ত্রী সুলফাথা-কে সঙ্গে নিয়ে পৌঁছে যান এলামাক্কারার বাড়িতে। এই সফর শুধু সহমর্মিতাই নয়, মোহনলালের মায়ের প্রতি ইন্ডাস্ট্রির গভীর শ্রদ্ধাকেও আরও একবার স্পষ্ট করে দেয়।

 

সম্প্রতি দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার প্রাপ্তির পরও কোচিতে ফিরেই যে প্রথম মানুষের কাছে গিয়েছিলেন মোহনলাল, তিনি তাঁর মা। সেই স্মৃতি আজ আরও শোকাহত করে তুলছে অনুরাগীদের।

 

পাঠানামথিট্টার এলান্থুর গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন শান্তাকুমারী। স্বামী বিশ্বনাথন নাইয়ার ছিলেন কেরল সরকারের প্রাক্তন আইনসচিব। দীর্ঘদিন তিরুবনন্তপুরমের মুদাভানমুগল এলাকায় তাঁদের ‘হিল ভিউ’ বাড়িই ছিল পরিবারের কেন্দ্রবিন্দু। জীবনে এক করুণ অধ্যায় ছিল বড় ছেলে প্যায়ারেলালের মৃত্যু, ২০০০ সালের সেই ঘটনাএই পরিবারকে ভীষণভাবে আঘাত করেছিল।

 

 

শান্তাকুমারী রেখে গেলেন ছেলে মোহনলাল, পুত্রবধূ সুচিত্রা এবং নাতি-নাতনি প্রনব ও বিশ্বমায়াকে। আগামী ৩১ ডিসেম্বর তাঁর শেষকৃত্য তিরুবনন্তপুরমে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।