দীর্ঘ প্রায় ১১ মাস পর বড়পর্দায় ফিরছেন রুক্মিণী মৈত্র। ২৮ নভেম্বর মুক্তি পাচ্ছে তাঁর নতুন ছবি 'হাঁটি হাঁটি পা পা'। আর সেই ছবি মুক্তির সকালে শুভেচ্ছা বার্তা এল তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কুণাল ঘোষের থেকে। মজার ছলে জবাব দিলেন অভিনেত্রীও। 

এদিন কুণাল ঘোষ হাসপাতাল থেকেই তাঁর একটি ছবি পোস্ট করেন। এক পায়ে ওয়াকারের সাহায্যে হাসপাতালের পোশাকে দাঁড়িয়ে রয়েছেন কুণাল। সম্প্রতি তিনি পড়ে গিয়ে পা ভাঙেন। অস্ত্রোপচার হয়েছে তাঁর। তারপর কেমন আছেন তিনি সেটার সঙ্গে 'হাঁটি হাঁটি পা পা' ছবিটির জন্য শুভেচ্ছা জানালেন। লিখলেন, 'হাঁটি হাঁটি পা পা, রুক্মিণী মৈত্রর জন্য বিশেষ পোস্ট। আজ মুক্তি পাচ্ছে হাঁটি হাঁটি পা পা। প্রিমিয়ারে রুক্মিণীর আমন্ত্রণ পেয়েছি। ফোন পেয়েছি। কিন্তু আমার যাওয়া অসম্ভব। হাসপাতাল থেকে শুভেচ্ছা সহ ওর জন্য এটা বিশেষ পোস্ট। বিনোদিনীতে রুক্মিণী মুগ্ধ করেছিল। হাঁটি হাঁটি পা পা যেটুকু দেখেছি, একদম অন্যরকম। শুনেছি, এখানেও বাবা চিরঞ্জিতদার সঙ্গে ফাটিয়ে অভিনয় করেছে মেয়ে রুক্মিণী মৈত্র। নতুন ছবি দর্শকদের ভালবাসা পাক। আমারও হাঁটি হাঁটি পা পা শুরু, আপাতত এক পায়ে।' অর্থাৎ তিনি যে দ্রুত সুস্থ হচ্ছেন, সেটা এদিন তাঁর পোস্ট থেকেই স্পষ্ট। 

কুণাল ঘোষের এই পোস্টের জবাব দেন এদিন রুক্মিণী মৈত্র। লেখেন, 'ওমা, ধন্যবাদ। প্লিজ তুমি তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠো। তোমায় হাঁটি হাঁটি পা পা নয়, দৌড়াতে দৌড়াতে দেখতে চাই। হাহা। দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠো।' 

?ref_src=twsrc%5Etfw">November 28, 2025

প্রসঙ্গত বাবা-মেয়ের গল্প বলবে অর্ণব মিদ্যার ‘হাঁটি হাঁটি পা পা।’ বাবার চরিত্রে চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তী। মেয়ের চরিত্রে রুক্মিণী। ছবিতে অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় দেখা যাবে অঞ্জনা বসু, তুলিকা বসু, বিশ্বরূপ বন্দ্যোপাধ্যায়, সন্দীপ ভট্টাচার্য প্রমুখ। বড়পর্দায় এই ছবি মুক্তি পাওয়ার আগেই গোয়ায় ৫৬তম ভারতের আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হয় ‘হাঁটি হাঁটি পা পা’। ‘হাঁটি হাঁটি পা পা’ মূলত এক চিরন্তন ভালবাসার গল্প—তবে সে ভালবাসা রোমান্টিক যুগল বা নারী-পুরুষের প্রেম নয়। বরং ছবিটি কথা বলে এমন এক অনুভূতির, যা প্রেমের সীমানা ছাড়িয়ে অনেক দূর পর্যন্ত বিস্তৃত। যেখানে আছে গভীর আত্মিক বন্ধন, দায়িত্ববোধ, পারস্পরিক শ্রদ্ধা এবং নিঃশর্ত স্নেহ।

ছবির সাফল্যের কামনায় গত মঙ্গলবার, ২৭ নভেম্বর দীঘার জগন্নাথ মন্দিরে পুজো দিতে হাজির হয়েছিলেন রুক্মিণী মৈত্র। সঙ্গে ছবির টিম। মহাপ্রভুর দরবারে প্রার্থনা করে আশীর্বাদ নিলেন তাঁরা। বুধবার ঘিয়ে রঙা শাড়িতে সেজে উঠেছিলেন রুক্মিণী মৈত্র। কপালে উজ্জ্বল লাল টিপ, খোলা চুলে হালকা ঢেউ, কানে মানানসই দুল—সব মিলিয়ে তাঁর সাজে ছিল একাধারে সৌন্দর্য, সরলতা এবং আভিজাত্যের ছোঁয়া।