নিজস্ব সংবাদদাতা, মুম্বই: আইনি জটে করিনা কাপুর খান। সৌজন্যে বেবোর লেখা বই। দ্বিতীয়বার অন্তঃসত্ত্বা থাকাকালীন অভিনেত্রী যে বই লিখেছিলেন, সেই বইকে ঘিরেই তৈরি হয়েছে জটিলতা। ‘করিনা কাপুর খানস প্রেগন্যান্সি বাইবেল’ নামের বইটিতে ‘বাইবেল’ শব্দের ব্যবহারের জেরেই করিনার বিরুদ্ধে ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাতের অভিযোগ উঠেছে। এবার সেই বিষয়ে মুখ খুললেন নবাব পত্নী।
গত মে মাস থেকে যাবতীয় সমস্যার শুরু। মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টে আইনজীবী ক্রিস্টোফার অ্যান্টনি নায়িকার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। আদালতে অ্যান্টনির দাবি ছিল, ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করেছেন করিনা কাপুর খান। তাঁর লেখা বইয়ের উপরেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। এতদিন এই প্রসঙ্গে কোনও কথা বলেননি অভিনেত্রী। অবশেষে মৌনতা ভাঙলেন।
করিনা তাঁর আইনজীবী দিব্যা কৃষ্ণ বিল্লাইয়া ও নিখিল ভট্টের মাধ্যমে জানিয়েছেন, ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করার তাঁর উদ্দেশ্য ছিল না। মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টে আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।
আইনজীবী তথা সমাজকর্মী ক্রিস্টোফারের যুক্তি, বাইবেল খ্রিস্টানদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ। তার সঙ্গে নায়িকার গর্ভাবস্থা কখনও তুলনীয় নয়। এতে খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীরা প্রচণ্ড আহত। তাঁদের ভাবাবেগে আঘাত করেছে এই ধরনের শিরোনাম।”মধ্যপ্রদেশের ওই খ্রিস্টান আইনজীবী করিনার বইয়ের শিরোনামকে ‘সস্তার প্রচার’ তকমা দিয়েছেন। মে মাসে এই নিয়ে তিনি নায়িকাকে আইনি নোটিস পাঠান। করিনার পাশাপাশি বই বিক্রেতাদেরও নোটিশ জারি করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, ২০২১-এ ‘বিতর্কিত’ বইটি প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে মামলাকারী আইনজীবী প্রথমে অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করতে পুলিশের কাছে যান। প্রশাসন তা নিতে অস্বীকার করলে তিনি যান নিম্ন আদালতে। নিম্ন আদালত থেকেও তার আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হয়েছিল। কারণ, তিনি ‘বাইবেল’ শব্দের অপব্যবহার নিয়ে যুক্তি তুলে ধরতে ব্যর্থ হয়েছিলেন। এর প্রেক্ষিতে আইনজীবী অ্যান্থনি অতিরিক্ত দায়রা আদালতে যান। কিন্তু সেখান থেকেও তাঁর আবেদন খারিজ হয়ে যায়। অবশেষে তিনি মধ্যপ্রদেশ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন।
