সংবাদ সংস্থা মুম্বই: রুপালী পর্দার হাতছানিতেই ঝড়ে পড়লো আসামের করিমগঞ্জের নুর মালবিকা দাস? গত ৬ জুন লোখান্ডওয়ালার ফ্ল্যাটে তাঁর মৃতদেহ খুঁজে পান পুলিশ। শুধু তাই নয়, অভিনেত্রীর শেষকৃত্যেও পাশে ছিল না তাঁর পরিবার। সম্প্রতি তাঁর পরিবারের একজন সদস্য মুম্বাইসংবাদ সংস্থার কাছে জানিয়েছেন, অবসাদে ভুগছিলেন মালবিকা। 
আসাম থেকে দু'চোখ ভরা স্বপ্ন নিয়ে মায়ানগরীতে হাজির হয়েছিলেন মালবিকা। তেমনটাই পরিবারের পক্ষ থেকে জানিয়েছেন আরতি দাস। স্বভাবে লড়াকু ছিলেন। 'ট্রায়াল' সিরিজে অভিনেত্রী কাজলের সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করেছেন তিনি। তবে মনের মত কাজ করছিলেন না বলে, অবসাদে ভুগছিলেন অনেকদিন ধরে। সে কথা মুম্বইসংবাদ সংস্থার কাছে স্পষ্ট জানিয়েছেন আরতি । 
গত ৬ জুন, ফ্ল্যাট থেকে দুর্গন্ধ বেরোলে স্থানীয় থানায় খবর দেন মালবিকার পাশের ফ্ল্যাটের এক বাসিন্দা। পুলিশ এসে তাঁর দেহ উদ্ধার করেন। তল্লাশি করে বেশ কিছু ওষুধ, একটি পার্সোনাল ডায়রি ও মোবাইল উদ্ধার করেন পুলিশ। পোস্টমর্টামে পাঠানো হয় তাঁর দেহ। এতকিছুর পর পুলিশ একাধিক বার যোগাযোগ করা সত্ত্বেও কোন রকম ভাবে সাড়া দিতে চাননি অভিনেত্রীর পরিবার। অবশেষে একটি এনজিও-র সহায়তায় শেষকৃত্য হয় মালবিকার। 
একাধিক ধারাবাহিকের জনপ্রিয় মুখ ছিলেন মালবিকা। তাও এই চরম সিদ্ধান্ত নিলেন কেন? 
সেই একই প্রশ্ন উঠছে বারবার। ঠিক যেমনটা হয়েছিল সুশান্ত সিং রাজপুতের সময়।