যাবতীয় বিতর্কের ইতি টেনে ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ ধারাবাহিকে অবশেষে ফিরেছেন জিতু কামাল। দিতিপ্রিয়া রায়ের বিপরীতে আবারও তাঁর উপস্থিতি দর্শকদের মধ্যে নতুন উন্মাদনা সৃষ্টি করেছে। অনুরাগীরাও আপাতত স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন। তবু জিতু–দিতিপ্রিয়ার অনস্ক্রিন রসায়ন নিয়ে জল্পনার মেঘ যেন কাটছে না। সেই সময়েই জিতুর একটি পোস্ট ঘিরে আবারও শুরু হয়েছে নতুন আলোচনা।
শুটিং ফ্লোরে ফিরেই সম্প্রতি একটি পোস্ট করেছেন জিতু। লিখেছেন, ‘নূপুরের দাম হাজার টাকা হলেও তার স্থান পা এ। আর,টিপের দাম এক টাকা হলেও তার স্থান মাথায়।’ (পোস্টদাতার বানান অপরিবর্তিত রাখা হল) জিতুর দু’বাক্যের এই পোস্টকে নিছকই একটি পোস্ট ভাবতে মানতে নারাজ তাঁর অনুরাগীরা। অনেকেই মনে করছেন, এর অন্তর্নিহিত অর্থ আসলে অন্য কিছু। একজন লিখেছেন, ‘জীবনে মূল্য আর মর্যাদা—এ দুই জিনিস সবসময় একই পথে চলে না। কোনও কিছুর দাম বেশি হলেই তা শ্রেষ্ঠ হয়ে যায় না, আর দাম কম হলেই তা অবমূল্যায়িত নয়। অনেক সময় সামান্য জিনিসও জীবনে সবচেয়ে উঁচু জায়গা দখল করে। কারণ আসল মূল্য নির্ভর করে উপযোগ, মানে, অনুভূতি আর স্থানের উপর—দামের উপর নয়। জীবনে— মানুষকে, জিনিসকে, সম্পর্ককে শুধু বাহ্যিক দাম বা আকার দেখে বিচার করা উচিত নয়। যার ভূমিকা মূল্যবান—তার স্থানই সর্বোচ্চ। দাম নয়, মর্যাদাটাই আসল।’ আবার অন্য জনের উপলব্ধি, ‘জীবনের সত্য খুব সহজ—কোনও কিছুর মূল্য তার দামে নয়, তার মর্যাদা নির্ভর করে তার উপযুক্ত স্থানে। নূপুরের দাম হাজার টাকা হলেও তার স্থান পায়েই থাকে, আর এক টাকার টিপ মাথার সৌন্দর্য বাড়ায়। ঠিক তেমনই মানুষকে বিচার করতে হয় তার চরিত্র, আচরণ, মনের সততা ও যোগ্যতা দিয়ে—বাহ্যিক চাকচিক্য বা অর্থ দিয়ে নয়। ছোট কোনও জিনিসও সঠিক স্থানে পৌঁছলে মূল্যবান হয়ে ওঠে, আর বড় কোনও জিনিসও ভুল স্থানে গেলে মূল্য হারায়। তাই জীবনে সম্মান আসে দামে নয়, আসে যোগ্যতা, মানসিকতা ও সঠিক অবস্থানে দাঁড়াতে পারার ক্ষমতায়।’
নেটিজেনদের একাংশের মতে, এই পোস্ট সম্ভবত জিতুর নিন্দুকদের উদ্দেশ্যেই ছুঁড়ে দেওয়া বার্তা। আবার অন্যরা মনে করছেন, সহ-অভিনেত্রীকে পরোক্ষভাবে খোঁচা দিতেই এমন মন্তব্য করেছেন তিনি। দু’দিক থেকেই তাই শুরু হয়েছে নতুন জল্পনা।
সূত্রের খবর, জিতু-দিতিপ্রিয়াকে নিয়ে চলা বিতর্কের মাঝে আর্য সিংহ রায়ের চরিত্রে অন্য অভিনেতাদের ভাবা হলেও কেউই রাজি হননি। তবে শুধু এই কারণে নয়, দর্শকদের ভালবাসার জোরে আবার নিজের জায়গায় স্বমহিমায় ফিরলেন জিতু। শোনা যাচ্ছে, এক্ষেত্রে চ্যানেলের সিদ্ধান্তই ছিল সর্বোপরি। এই চরিত্রে যে জিতুকে আবার দেখা যাবে তা ভাবতে পারেননি অনেকেই। এসভিএফ প্রযোজনা সংস্থার সঙ্গে মিটিংয়ের পরও সেইভাবে কোনও সদুত্তর মেলেনি। এমনকী জিতু মিটিং থেকে বেরিয়ে আসেন বলেও জানা যায়।
