সংবাদ সংস্থা মুম্বই: দক্ষিণ কাশ্মীরের পহলগাওঁয়ে মঙ্গলবার হওয়া ভয়াবহ সন্ত্রাসবাদী হামলার তীব্র নিন্দায় সরব হলেন একের পর এক তারকা। 'কাপুরুষোচিত' বলে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন ভিকি কৌশল, জাহ্নবী কাপুর, বরুণ ধাওয়ানরা—ইনস্টাগ্রামে শোকবার্তায় ভরে উঠল বলিউডের টাইমলাইন।
এই রক্তাক্ত ঘটনার পরেই শুরু হয়েছে বিতর্ক—পাকিস্তানি অভিনেতা ফওয়াদ খানের বলিউড কামব্যাক ছবি আবির গুলাল-এর বয়কটের ডাক উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। বাণী কাপুর অভিনীত এই রোম্যান্টিক ছবি মুক্তি পাওয়ার কথা ৯ মে। ঠিক সেই আবহেই, ফওয়াদ নিজের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে লিখেছেন, “পহলগাওঁয়ের নৃশংস হামলার খবর শুনে মর্মাহত। নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা। এই দুঃসময়ে তাঁদের জন্য প্রার্থনা রইল।”
সূত্রের খবর, এই হামলায় এখনও পর্যন্ত অন্তত ২৬ জন নিহত এবং ১০ জন গুরুতর জখম। অধিকাংশই ছিলেন পর্যটক, যাঁদের ধর্ম জিজ্ঞাসা করে গুলি করা হয়েছে বলে অভিযোগ।
এর মধ্যেই তীব্র বিতর্ক শুরু হয়েছে—ফওয়াদ খানের প্রত্যাবর্তন ঘিরে বলিউড কি মুখ ফিরিয়ে নেবে? একাংশ বলছেন, এ মুহূর্তে পাকিস্তানি শিল্পীদের হিন্দি সিনেমায় থাকা উচিত নয়। তবে এ বিতর্ক কিন্তু একেবারে নতুন নয়। আবির গুলাল ঘোষণার পর থেকেই প্রশ্ন উঠছিল, পাকিস্তানি তারকাদের ফেরানো কি আদৌ ঠিক?
এই নিয়েই আগেই মুখ খুলেছিলেন অভিনেত্রী দিয়া মির্জা। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন—“এটা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক প্রশ্ন। আমি বরাবরই বিশ্বাস করি, শিল্প ও খেলাধুলা যেন কখনও ঘৃণার হাতিয়ার না হয়। ফওয়াদ ফিরে আসছেন—এটা খুব ভাল খবর। এর ফলে ভবিষ্যতে আরও এমন আন্তর্জাতিক সহযোগিতা হোক—সেটাই কাম্য।” তবে জানিয়ে রাখা ভাল দিয়ার এই সাক্ষাৎকারটি কিন্তু পহলগাওঁ হামলার আগের।
এদিন, ২৪ এপ্রিল দিয়া মির্জা নিজের ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেলে লেখেন— “আমাদের হৃদয় আজ শোকার্ত। এই যন্ত্রণা যেন আমাদের ঐক্যবদ্ধ করে, যেন শান্তির জন্য আমরা এক কণ্ঠে বলি—আর নয়! ঘৃণার বিরুদ্ধে আমাদের কণ্ঠ যেন নীরব না হয়। নৃশংসতার জন্য দায়ীদের শাস্তি হতেই হবে। এবার সময়, এক মানবতা হয়ে উঠে বলার—ঘৃণার কোনও স্থান নেই।”
