'ধুরন্ধর'-এর ট্রেলার মুক্তির পর থেকেই জোর আলোচনা শুরু হয়েছিল। পরিচালক আদিত্য ধর-এর এই ছবিতে জমজমাট অ্যাকশনের সঙ্গে প্রথম থেকেই চর্চায় ছবির নায়িকা সারা অর্জুনের সঙ্গে রণবীর সিং-এর রোম্যান্স। রণবীর এবং সারার মধ্যে ২০ বছরের বয়সের ব্যবধান নিয়ে বিতর্ক এবং সমালোচনার ঝড় ওঠে সমাজমাধ্যমে।
অনেকেই প্রশ্ন তোলেন, এত কম বয়সি অভিনেত্রীকে কেন একজন প্রতিষ্ঠিত তারকার বিপরীতে নেওয়া হল? দর্শকদের একাংশ মনে করেন, এই ধরনের কাস্টিং অস্বস্তিকর এবং অপ্রয়োজনীয় বিতর্ক তৈরি করে।
এই বিতর্কে এবার মুখ খুলেছেন ছবির কাস্টিং ডিরেক্টর মুকেশ ছাবড়া। তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন, এই সিদ্ধান্ত বা কাউকে অস্বস্তিতে ফেলার জন্য নয়, কোনওভাবেই হঠাৎ নেওয়া হয়নি। বরং এটি ছিল পুরোপুরি গল্পের প্রয়োজন অনুযায়ী নেওয়া সিদ্ধান্ত।
মুকেশ ছাবড়া জানান, ‘ধুরন্ধর’ ছবির গল্পে সারা অর্জুনের চরিত্রটির বয়স শুরু থেকেই নির্দিষ্ট করা ছিল। গল্প অনুযায়ী সেই চরিত্রের বয়স প্রায় ২০-২১ বছরের হওয়াই দরকার ছিল। তাই বয়সের বিষয়টি মাথায় রেখেই অভিনেত্রী বাছাই করা হয়েছে। রণবীরের চরিত্রের সঙ্গে এই বয়সের পার্থক্য গল্পের অংশ হিসেবেই দেখানো হয়েছে।
তিনি আরও জানান, সারাকে এই চরিত্রের জন্য ১,৩০০ জনের বেশি প্রার্থীর মধ্যে থেকে বেছে নেওয়া হয়েছে। শুধুমাত্র বয়স নয়, অভিনয়ের দক্ষতা, পর্দায় উপস্থিতি এবং চরিত্রের সঙ্গে মানানসই হওয়াই ছিল নির্বাচনের মূল কারণ। কাস্টিং টিম মনে করেছে, সারা এই চরিত্রে সবচেয়ে স্বাভাবিক ও বিশ্বাসযোগ্য পারফরম্যান্স দিতে পারবেন।
মুকেশ ছাবড়ার মতে, দর্শকদের উচিত ছবির গল্প ও চরিত্রের প্রেক্ষাপট বোঝা। তিনি ইঙ্গিত দেন, যারা এখন বয়সের ব্যবধান নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন, তারা ছবির পরের অংশ বা পুরো গল্প দেখলে বিষয়টি আরও পরিষ্কারভাবে বুঝতে পারবেন।
তবে বিষয়টি পরিষ্কার যে ‘ধুরন্ধর’-এ রণবীর ও সারার জুটি কোনও হঠকারি সিদ্ধান্ত নয়। এটি ছিল গল্পের প্রয়োজনে নেওয়া একটি পরিকল্পিত কাস্টিং। প্রসঙ্গত, ‘ধুরন্ধর’ বক্স অফিসে দারুণ সাফল্য পাচ্ছে। অ্যাকশন, আবেগ ও জমজমাট অভিনয়ের মেলবন্ধনে ছবিটি সিনেপ্রেমীদের প্রশংসা কুড়োচ্ছে।
