নিজস্ব সংবাদদাতা, মুম্বইঃ ১৯৯০ থেকে ২০১৬, প্রায় ২৩ বছরের বেশি সময় ধরে ভারতীয় চলচ্চিত্রে রাজত্ব করেছেন শাহরুখ খান, সলমন খান এবং আমির খান। কিন্তু সেই জয়ের ধারা ভেঙে দিয়েছেন দক্ষিণের নায়ক। তিনি রজনীকান্ত। তিনি তিন খানকে সেই সময়ে পিছনে ফেলে দিয়েছিলেন যখন তাঁরা কেরিয়ারে শীর্ষে ছিলেন। তথাকথিত বলিউড ঘরানার বাইরের ছবির মাধ্যমেই ৬০ বছর বয়সে তিনি শাহরুখ, সলমন, আমিরকে পিছনে ফেলে দিয়েছিলেন। 

নয়ের দশক থেকে ২০০০-এর মাঝামাঝি পর্যন্ত প্রতি বছর ভারতীর ছবির আয়ের নিরিখে এক নম্বরে ছিল শাহরুখ, সলমন কিংবা আমির খানের ছবি। 'দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে', 'রাজা হিন্দুস্তানি', 'দিল তো পাগল হ্যায়', 'হাম সাথ সাথ হ্যায়', 'মহব্বতে', 'কাভি খুশি কাভি গম', 'দেবদাস', 'কাল হো না হো' এবং 'বীর জারা'-এর মতো ছবি ভারতীয় সিনেমায় খানদের জন্য জয়জয়কারের ধারা অব্যাহত রাখে। ২০০৫ সালে সলমনের 'নো এন্ট্রি' ৭৫ কোটি  এবং আমিরের 'মঙ্গল পান্ডে' ৫২ কোটি আয় করলেও, রজনীকান্তের 'চন্দ্রমুখী' তাঁদের পিছনে ফেলে দেয়। সেবছর তামিল সুপারস্টারের ছবি বিশ্ব জুড়ে ৯০ কোটি টাকা কামিয়েছিল। 

এরপর পাঁচ বছর বাদে ফের স্বমহিমায় ফিরে আসেন রজনীকান্ত। ২০১০ সালে সলমনের সবচেয়ে বড় হিট ছিল 'দাবাং'। প্রায় ২২১ কোটি টাকা আয় করেছিল সেই ছবি। শাহরুখের 'মাই নেম ইজ খান'ও বিদেশে হিট হয়, আয় করে ২২০ কোটি। কিন্তু দুটি সিনেমাকেই ছাপিয়ে যায় রজনীকান্তের 'এন্থিরান'। ২৮৩ কোটি কামিয়ে সেবছর তিন খানকে হারিয়ে দেন তিনি। 

২০১৮ সালেও রজনীকান্তের '২.০' বিপুল হিট হয়। তবে ততদিনে তিন খান তাঁদের সর্বোচ্চ আয়ের সীমা ছাড়িয়ে গেছেন। আমিরের 'থাগস অফ হিন্দুস্তান', 'সলমানের 'রেস ৩' এবং শাহরুখের 'জিরো' সিনেমাটিকে পেছনে ফেলে দেয় দক্ষিণের '২.০'।

২০২৩ সালে রজনীকান্তের 'জেলর' বিশ্ব জুড়ে ৬০০ কোটি টাকা আয় করে। আজও অপ্রতিরোধ্য রজনীকান্ত। ৭৪ বছরে ফের বড়সড় ধামাকা নিয়ে ফিরছেন সুপারস্টার। তাঁকে পরবর্তীতে লোকেশ কানাগরাজের 'কুলি' ছবিতে দেখা যাবে। আগামী ১৪ আগস্ট বিশ্বব্যাপী ছবিটি মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে।