সংবাদ সংস্থা মুম্বই: যৌন হেনস্থার অভিযোগে বিদ্ধ হয়েছিলেন পরিচালক সাজিদ খান। ‘মিটু’ আন্দোলনের জেরে সাসপেন্ডও করা হয়েছিল তাঁকে। সাজিদের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ জানিয়ে সরব হন একাধিক মহিলা। ছবিতে অভিনয় করার সুযোগ দিয়ে তাঁদের যৌন নির্যাতন করা হত বলে সাজিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়। অভিযোগ পাওয়ার পরই সাজিদকে এক বছরের জন্য সাসপেন্ড করেছিল ‘ইন্ডিয়ান ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ডিরেক্টরস অ্যাসোসিয়েশন’। শার্লিন চোপড়া, মডেল-তারকা র্যাাচেল হোয়াইট সাজিদের যৌন লালসার শিকার হয়েছিলেন বলে অভিযোগ। শার্লিন তো সাজিদকে ‘যৌনশিকারি’, ‘অভ্যস্ত যৌন হেনস্থাকারী’ ইত্যাদি বলে দাগিয়ে দিয়েছিলেন। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সাজিদ জানান সেই ঘটনার পর পেরিয়ে গিয়েছে ৬ বছর। আজও বলিউড থেকে কোনও ডাক পাননি তিনি। অর্থের জন্য বিক্রি করে দিতে হয়েছে তাঁর বাড়ি। এইমুহূর্তে একটি ভাড়ার ফ্ল্যাটে থাকেন তিনি। শুধু তাই নয়, কবুল করলেন দুঃখে-অবসাদে আত্মহননের কথাও একাধিকবার ভেবেছিলেন তিনি! 

 

ক্ষোভের সুরে তিনি আরও জানান, তাঁর মতো একই অভিযোগে যাঁরা বিদ্ধ হয়েছিলেন বলিউডে, তাঁদের মধ্যে অনেকেই ফিরে এসেছেন বলিপাড়ায়। শুধু তিনি আর ফেরার ডাক পাননি। জানান, কেন এমন করা হচ্ছে তাঁর সঙ্গে, জানেন না তিনি। জোর গলায় 'হাউজফুল' ছবির এই পরিচালক জানান, তিনি সারা জীবন মেয়েদের সম্মান জানিয়ে গিয়েছেন। তাঁর পারিবারিক শিক্ষাটাই তেমন। এতদিন কেন তিনি চুপ করেছিলেন তিনি? সাজিদের জবাব, “আমি কথা বলতে চাইনি। মা আমাকে শিখিয়েছিলেন, ‘নীরবতাই শ্রেষ্ঠ উত্তর।’

 

সাজিদ আরও জানান, তিনি-বন্ধুদের মধ্যে সবাইকে জীবনমুখী থাকার জন্য উৎসাহ দিতেন। সেই তিনি-ই হতাশার সমুদ্রে একপ্রকার ডুবে যখন গিয়েছিলেন তখন নিজেকেই বোঝাতেন এভাবে শেষ হতে পারে না তাঁর জীবন। এটা তাঁর জীবনের একটি অধ্যায় হতে পারে বড়জোর, কিন্তু গোটা জীবন কিছুতেই নয়।