নিজস্ব সংবাদদাতা: 'এঞ্জেল ক্রিয়েশন'-এর প্রতিষ্ঠাতা তথা ম্যানেজিং ডিরেক্টর সঙ্গীতা সিনহা। গোটা অনুষ্ঠানটি তাঁরই মস্তিস্কপ্রসূত। বাংলার উজ্জ্বল মুখ ও কৃতিদের স্বীকৃতিকে বরণ করে নেওয়ার এবং উদ্যাপন করার উৎসবই 'বাংলার জাতীয় গর্ব'।
বিভিন্ন ক্ষেত্রে জাতীয় পুরস্কার, অর্জুন পুরস্কার, পদ্মশ্রী, পদ্মভূষণ খেতাব অর্জন করে নিজেদের কৃতিত্বের বর্ণময় ছটায় যাঁরা আমাদের জাতীয় গর্ব হয়ে উঠেছেন , তাঁদের গরিমাকে বরণ করে নেওয়ার , তাঁদের মহিমাকে উদ্যাপন করার মঞ্চ 'বাংলার জাতীয় গর্ব '। রবিবার আইটিসি সোনার-এ উদ্যাপিত হল এই অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় সিজন।
সম্মান জানানো হল পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী, সৌরভ গাঙ্গুলি, পণ্ডিত তেজেন্দ্র নারায়ণ মজুমদার, লিয়েন্ডার পেজ, কুমার শানু, অভিজিৎ ভট্টাচার্য, মাধবী মুখোপাধ্যায়, মমতা শঙ্কর, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, জিৎ গাঙ্গুলি, রূপম ইসলাম, কৌশিক গাঙ্গুলি, চূর্ণী গাঙ্গুলি, সুদেষ্ণা রায়, রূপঙ্কর বাগচী, দোলন রায়, অনুপম রায়ের মতো খ্যাতনামাদের।
এদিন সঙ্গীতা সিনহা বলেন, "বাংলার গর্বদের চিরকালীন মনে রাখার জন্য এই উদ্যোগ। বাঙালি হয়ে, বাংলার কৃতিদের সম্মান জানানোটা কর্তব্য মনে করি।" পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী বলেন, "আজও শিখি সবার থেকে। কখনও নিজের জ্ঞানকে বড় করে দেখি না। কিন্তু আজ 'বাংলার গর্ব'-এর সম্মান পাচ্ছি, সত্যিই এই অনুভূতি অনবদ্য।" সৌরভ গাঙ্গুলির কথায়, "এই অনুষ্ঠান মনের জোর বাড়ানোর বার্তা দেয়। তরুণ প্রজন্মকে ভাল কাজ করার জন্য উৎসাহিত করবে এই ধরনের সম্মান।"
কুমার শানুর কথায়, "এই অনুষ্ঠান নতুন করে সম্মান দিল। গানে গানে মানুষের মন জয় করার সার্থক।" অভিজিৎ ভট্টাচার্য বলেন, "বাংলার গর্ব হয়ে আবারও কলকাতায় আসতে পেরে খুব খুশি। বাংলায় খুব কম কাজ করলেও যে এত সম্মান পেয়েছি, তার জন্য কৃতজ্ঞ।" ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর কথায়, "মা সবসময় বলতেন জীবনে কিছু পেতে গেলে তার জন্য লড়তে হয়। আজ এই সম্মান মায়ের কথা মনে করিয়ে দিল।"
এই অনুষ্ঠানের সাক্ষী ছিলেন যশ-নুসরত, অঙ্কুশ-ঐন্দ্রিলা, শ্রুতি-স্বর্ণেন্দু, কৌশানী মুখোপাধ্যায়, লহমা ভট্টাচার্য। ইমন চক্রবর্তীর সুরে এদিন মন মাতল সবার।
ছবি: বিপ্লব মৈত্র
