সংবাদ সংস্থা মুম্বই: ‘রকি অউর রানি কী প্রেম কহানি’তে রণবীর সিংয়ের বোনের চরিত্রে দেখা গিয়েছিল অঞ্জলি আনন্দ-কে। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তাঁর শৈশবের গা-ছমছমে এক অভিজ্ঞতার কথা ফাঁস করেছেন তিনি। এক বিস্ফোরক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, কীভাবে মাত্র ৮ বছর বয়সে এক নৃত্যশিক্ষক তাঁকে যৌন হেনস্থা করতেন, তাঁর জীবনের নিয়ন্ত্রক হয়ে উঠেছিলেন! অভিনেত্রী জানান, বাবার মৃত্যুর পর নৃত্যগুরু তাঁর সরলতাকে কাজে লাগিয়ে তাঁকে মানসিকভাবে দখল করে নেয়। অঞ্জলি বলেন— “আমি জানতাম না কী করা উচিত। তখন আমার আট বছর বয়স, আর সে এসে বলল, ‘আমি তোর বাবা।’ আমি বিশ্বাস করে ফেলেছিলাম! তারপর খুব ধীরে ধীরে, একদিন সে আমার ঠোঁটে একটা চুমু দিয়ে বলল, ‘এটাই তো বাবারা করে!’
ধীরে ধীরে তার দখলদারি আরও ভয়ংকর হতে থাকে। সে ঠিক করে দিত অঞ্জলি কী পরবে, চুল খোলা রাখবে কি না, এমনকি ফোনের প্রতিটা কল ও মেসেজ পর্যন্ত নজরে রাখত!এই অস্বাভাবিক শাসন চলতে থাকে ৮ বছর থেকে ১৪ বছর পর্যন্ত। সেই নাচের শিক্ষক তার প্রতিটা পদক্ষেপ অনুসরণ করত।
"ও আমাকে এমন পোশাক পরাত যাতে আমি আকর্ষণীয় না দেখাই, আমার ব্যক্তিগত জীবন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করত! আমি এতটাই বন্দি হয়ে পড়েছিলাম যে বুঝতেই পারতাম না এটা অস্বাভাবিক! স্কুলের বাইরে ও আমাকে নিতে দাঁড়িয়ে থাকত। সবাই দেখে অবাক হতো কিন্তু কেউ কখনও প্রশ্ন করেনি!"
অঞ্জলির সেই দুঃস্বপ্নের চক্রব্যূহ টুটে যায়, যখন বোনের বিয়েতে একটি ছেলের সঙ্গে তাঁর আলাপ হয়, যে পরবর্তীতে তার প্রথম প্রেমিক হয়। অভিনেত্রীর কথায়, "যখন আমার সঙ্গে সে স্বাভাবিকভাবে কথা বলল, তখনই প্রথমবার মনে হল— ‘এটাই তো স্বাভাবিক জীবন হওয়া উচিত।’ আরও জানান, যখন সেই নৃত্যশিক্ষক তাঁর জীবনে এই পরিবর্তন লক্ষ্য করে, তখনই সে আরো আগ্রাসী হয়ে ওঠে। অবশেষে তাঁর সেই প্রথম প্রেমিক এই নৃত্যশিক্ষকের হাত থেকে বেরোতে তাঁকে সাহায্য করেছিলেন।
