ভারতীয় বিজ্ঞাপনী জগতে প্রবাদপ্রতিম হিসেবে পরিচিত প্রহ্লাদ কক্করের ঝুলিতে রয়েছে অজস্র জনপ্রিয় বিজ্ঞাপন। ভারতীয় বিজ্ঞাপন জগতে ব্র্যান্ড ভ্যালু তৈরিতে তাঁর জুড়ি মেলা ভার। বলা হয়, যাঁদের হাতে সাবালক হয়েছে ভারতীয় বিজ্ঞাপন দুনিয়া, প্রহ্লাদ কক্কর তাঁদের মধ্যে অন্যতম। দুই বা তিন দশক আগের তৈরি অ্যাড ফিল্মগুলি তোলপাড় তুলেছিল দেশের টেলিভিশন দুনিয়ায়। তাঁর ব্যক্তিত্বের মতো কথাবার্তাও সোজাসাপটা, রঙিন এবং খানিক বিতর্কিত। এবার বচ্চন পরিবারের অন্দরের গোপন কাহিনি নিয়ে মুখ খুললেন তিনি। সম্প্রতি, দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মন্তব্য করলেন বহুল আলোচিত ঐশ্বর্য এবং জয়া বচ্চনের পরস্পরের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে!

ঐশ্বর্যা রাই বচ্চনের বিবাহিত জীবন আর ‘বচ্চন পরিবারের বৌমা’ হিসেবে তাঁর অবস্থান— বারবারই শিরোনামে আসে। কিন্তু এবার বিজ্ঞাপন গুরু প্রহ্লাদ কাক্কর স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, এইসব গুঞ্জনের কোনও সত্যতা নেই। প্রহ্লাদ কাক্করের বক্তব্য, তিনি নাকি বিয়ের আগেই ঐশ্বর্যার একই আবাসনে থাকতেন। তাই ঐশ্বর্যকে তাঁর দেখা-শোনা বেশ কাছ থেকে। ওই সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “আমি মনে করি না খবরগুলো সত্যি। আমি জানি, ঐশ্বর্যা কতটা সময় কাটান ওই আবাসনে। আসলে তাঁর মায়ের শরীর খারাপ। সকালে মেয়ে আরাধ্যাকে স্কুলে দিয়ে আসেন, তারপর দুপুর একটা পর্যন্ত ফ্রি থাকেন। সেই সময়টা মায়ের সঙ্গেই কাটান। এরপর মেয়েকে নিয়ে জলসাতে ফেরেন।” ‘জলসা’ অর্থাৎ যে বাড়িতে গোটা বচ্চন পরিবার থাকেন।
শাশুড়ি জয়া বচ্চনের সঙ্গে তাঁর নাকি বনিবনা নেই—এই প্রশ্নে প্রহ্লাদের উত্তর, “তাতে কী হয়েছে? তিনি এখনও তো বচ্চন বাড়ির বৌমা। তিনিই তো সংসার চালান।” আরও এক ধাপ এগিয়ে অ্যাড গুরু বলেন, “সবাই বলছে ঐশ্বর্য নাকি স্বামীর সংসার ছেড়ে মায়ের কাছে থাকছেন। আসলে ব্যাপারটা এমন নয়। কেবল সকালে কয়েক ঘণ্টা মায়ের সঙ্গে থাকেন। রবিবারও আসেননা। ওঁকে আমি চিনি, মা’কে খুব ভালবাসেন, চিন্তাও করেন। কখনও কখনও অভিষেকও তো আসেন ঐশ্বর্যর মাকে দেখতে। তাহলে? অভিষ্যেক যদি বিচ্ছেদের পথেই হাঁটতেন তাহলে কেন ঐশ্বর্যর মা-কে দেখতে আসবেন?”
শেষে প্রহ্লাদ যোগ করেন,“ঐশ্বর্য সব সময় নিজের মর্যাদা বজায় রেখেছেন, কেরিয়ারের শুরু থেকে আজ পর্যন্ত।”
