সংবাদ সংস্থা, মুম্বই: স্টাইল স্টেটমেন্টে বরাবরই ব্যক্তিত্বের পরিচয়, তাঁর রূপে-গুণে মুগ্ধ অনুরাগীরা। বলিউড থেকে হলিউড অবাধ বিচরণ। এহেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া চরিত্রের জন্য বারে বারে নিজেকে ভেঙেছেন। লাস্যময়ী অবতারে ধরা দিয়েছেন পর্দায়। কিন্তু মেয়ের আচরণের পরিবর্তন মেনে নিতে পারেননি অভিনেত্রীর মা মধু চোপড়া। রীতিমতো মেয়েকে বকুনিও দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু কী এমন হয়েছিল?
কেরিয়ারের শুরুর দিকে ‘অ্যায়েতরাজ়’ ছবিতে একেবারে অন্য ধরনের এক চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন প্রিয়াঙ্কা। ‘সনিয়া’ নামের ওই চরিত্রটি প্রেমে হারতে শেখেনি। নিজের লাস্য ও যৌন আবেদনে পছন্দের পুরুষকে কেড়ে নিতে পিছু হঠে না সে। ২০০৪ সালে এমন এক সাহসী চরিত্রে অভিনয় করে প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন ‘দেশি গার্ল’। যার জন্য অধ্যাবসায়ও কম করেননি তিনি। বাড়িতেও ওই চরিত্রের ভাবভঙ্গি, আদবকায়দা অভ্যাস করতে থাকেন প্রিয়াঙ্কা। যার জন্যই মায়ের বকাবকি শুনেছিলেন তিনি।
এক সাক্ষাৎকারে প্রিয়াঙ্কা জানিয়েছেন, ‘অ্যায়েতরাজ়’ ছবির শুটিং চলাকালীন তিনি নিজের মধ্যে পরিবর্তন এনেছিলেন। ‘সনিয়া’ চরিত্রের মতো বাড়িতেও কথা বলতেন নায়িকা। আর তাতেই বেজায় চটে যান মধু চোপড়া। আচমকা মেয়ের মধ্যে পরিবর্তন দেখে চমকে গিয়েছিলেন তিনি। একদিন বাড়িতে ছবির চরিত্রের মতো কাপ ধরতেই কড়া শাসন করেন মধু। মেয়েকে বলেন, “বাড়িতে থাকতে হলে ওই চরিত্র বাইরে রেখে আসবে। এখানে কিন্তু কোনও ক্যামেরা নেই।”
এমনকী একদিন ঘরে প্রিয়াঙ্কাকে সোনিয়া কপুরের মতো যৌন আবেদনময় কথা বলতে দেখেন তাঁর মা। তৎক্ষণাৎ ক্যামেরা বন্দি করে রাখেন ওই মুহূর্ত। তবে বিষয়টি জানতে পেরে বেশ অস্বস্তিতে পড়েছিলেন প্রিয়াঙ্কা।
