সংবাদসংস্থা মুম্বই: নাসিরুদ্দিন শাহ সেই বিরল অভিনেতাদের মধ্যে একজন যিনি বড়পর্দায় চুটিয়ে কাজ করে যাওয়ার পাশাপাশি সমান্তরালে মঞ্চেও দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। দীর্ঘ চল্লিশ বছরের তাঁর অভিনয় জীবনে এই নিয়মে কোনও ছেদ পড়েনি। এবং এই দু'জায়গায় নিজের অভিনয়ের পাকাপোক্ত ছাপ যেভাবে তিনি রেখেছেন সে ব্যাপারে অকুণ্ঠ তারিফ শোনা গিয়েছে সমালোচকমহলেও। অভিনয়ের পাশাপাশি বরাবরই কোনও বিষয়ে সরাসরি নিজের মত প্রকাশ করতে দ্বিধা করেননা নাসির। অনেক সময় সেই মন্তব্য থেকে বিতর্কের সৃষ্টি হলেও পিছপা হোন না তিনি।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে স্পষ্ট কথায় নাসিরুদ্দিন জানালেন, বড়পর্দায় অভিনয়কে ও মঞ্চাভিনয় নিয়ে জনমানসে কী মত। 'মাসুম' অভিনেতা কুন্ঠাহীন ভাবে বললেন, " পেশাদার মঞ্চ অভিনেতাদের অভিনয় দেখে ছবির অভিনেতারা বলেন, 'অ্যাটিটিউড'। অন্যদিকে, পর্দার অভিনেতাদের কাজ দেখে 'ফিল্মি' বলে দেগে দেন মঞ্চের অভিনেতারা। সোজা কথায়, দুই শব্দেরই অর্থ হল- খারাপ অভিনয়"।
এখানেই না থেমে নাসিরুদ্দিন আরও বলেন, " মঞ্চে যাঁরা অভিনয় করেন তাঁদের ধারণা, পরীক্ষার গৃহের শেষ সারির দর্শকের কাছে পৌঁছানোর জন্য সজোরে, চিৎকার করে সংলাপ বলতে হয় এবং অভিনয়টাকেও একটু বাড়িয়ে প্রকাশ করতে হয়। আমার প্রশ্ন যদি মঞ্চে অভিনেতাদের লক্ষ্য সেটাই হয় তা হলে প্রথম সারিতে বসা দর্শকেরা কি দোষ করল? তাঁরা তো ওই চিৎকারের চোটে বধির হয়ে যাবেন!" এরপরেই বর্ষীয়ান অভিনেতার পরামর্শ, "মঞ্চের শিল্পীদের এমন একটি উপায় খুঁজে বের করতে হবে যাতে প্রেক্ষাগৃহের প্রতিটি প্রান্তে বসা দর্শক একই লয়ে তাঁদের সংলাপ শুনতে পান এবং বুঝতে পারেন"।
নাট্যাভিনেতা ডা. শ্রীরাম লাগুর উদাহরণ টেনে নাসির বলে ওঠেন, "মঞ্চে আমি ওঁর অভিনয় দেখেছি। আমার ব্যক্তিগত মত, বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ মঞ্চাভিনেতা। ব্যালকনির শেষ সারিতে বসেও ওঁর অভিনয়ের প্রতিটি ভঙ্গি দেখতে যেমন অসুবিধে হয়নি আমার তেমনই ওঁর বলা সংলাপ শুনতে একটিবারের জন্যও কষ্ট করতে হয়নি। ভীষণভাবে মনে করি, যদি সৎভাবে, নিষ্ঠাভরে মঞ্চে কেউ অভিনয় করেন তা হলে প্রেক্ষাগৃহের যে প্রান্তেই দর্শক বসে থাকুক তাঁর বুঝতে কোনও অসুবিধা হবে না!"
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে স্পষ্ট কথায় নাসিরুদ্দিন জানালেন, বড়পর্দায় অভিনয়কে ও মঞ্চাভিনয় নিয়ে জনমানসে কী মত। 'মাসুম' অভিনেতা কুন্ঠাহীন ভাবে বললেন, " পেশাদার মঞ্চ অভিনেতাদের অভিনয় দেখে ছবির অভিনেতারা বলেন, 'অ্যাটিটিউড'। অন্যদিকে, পর্দার অভিনেতাদের কাজ দেখে 'ফিল্মি' বলে দেগে দেন মঞ্চের অভিনেতারা। সোজা কথায়, দুই শব্দেরই অর্থ হল- খারাপ অভিনয়"।
এখানেই না থেমে নাসিরুদ্দিন আরও বলেন, " মঞ্চে যাঁরা অভিনয় করেন তাঁদের ধারণা, পরীক্ষার গৃহের শেষ সারির দর্শকের কাছে পৌঁছানোর জন্য সজোরে, চিৎকার করে সংলাপ বলতে হয় এবং অভিনয়টাকেও একটু বাড়িয়ে প্রকাশ করতে হয়। আমার প্রশ্ন যদি মঞ্চে অভিনেতাদের লক্ষ্য সেটাই হয় তা হলে প্রথম সারিতে বসা দর্শকেরা কি দোষ করল? তাঁরা তো ওই চিৎকারের চোটে বধির হয়ে যাবেন!" এরপরেই বর্ষীয়ান অভিনেতার পরামর্শ, "মঞ্চের শিল্পীদের এমন একটি উপায় খুঁজে বের করতে হবে যাতে প্রেক্ষাগৃহের প্রতিটি প্রান্তে বসা দর্শক একই লয়ে তাঁদের সংলাপ শুনতে পান এবং বুঝতে পারেন"।
নাট্যাভিনেতা ডা. শ্রীরাম লাগুর উদাহরণ টেনে নাসির বলে ওঠেন, "মঞ্চে আমি ওঁর অভিনয় দেখেছি। আমার ব্যক্তিগত মত, বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ মঞ্চাভিনেতা। ব্যালকনির শেষ সারিতে বসেও ওঁর অভিনয়ের প্রতিটি ভঙ্গি দেখতে যেমন অসুবিধে হয়নি আমার তেমনই ওঁর বলা সংলাপ শুনতে একটিবারের জন্যও কষ্ট করতে হয়নি। ভীষণভাবে মনে করি, যদি সৎভাবে, নিষ্ঠাভরে মঞ্চে কেউ অভিনয় করেন তা হলে প্রেক্ষাগৃহের যে প্রান্তেই দর্শক বসে থাকুক তাঁর বুঝতে কোনও অসুবিধা হবে না!"
