ছোটপর্দায় জনপ্রিয় মুখ তিনি। পূর্ণ দৈর্ঘ্যের ছবিতেও কাজ করেছেন। বিশ্বাবসু বিশ্বাস এবার পরিচালনায়। দ্রুত ইউটিউবে মুক্তি পেতে চলেছে তাঁর পরিচালিত সিরিজ 'রং রুট'। মুক্তির দিন এখনও নিশ্চিত না করলেও শোনা যাচ্ছে, ইতিমধ্যে শুটিং সেরে ফেলেছেন তিনি। আপাতত চলছে পোস্ট প্রোডাকশনের কাজ। কবে সাধারণ দর্শক সেটি দেখতে পাবেন, তা নিশ্চিত করে না জানালেও খুব দ্রুতই যে পরিচালক বিশ্বাবসুকে পেতে চলেছেন বাংলার দর্শক, সেটা নিশ্চিত করে বলাই চলে।
সিরিজে অনেকগুলো নাম জড়িয়ে রয়েছে। অভিনয় করেছেন অর্কজা আচার্য, ছোটপর্দার আরও এক জনপ্রিয় মুখ। পাশাপাশি শোনা যাচ্ছে, অভিনয়ে ও সঙ্গীতের কাজে জড়িয়ে রয়েছেন ইন্ডাস্ট্রির বেশ কিছু জনপ্রিয় মানুষেরাও। ক্রমে সে বিষয়েও বিস্তারিত জানাবেন বলে জানিয়েছেন পরিচালক।
অনেকদিন নিয়মিত ছোটপর্দায় দেখা যাচ্ছে না অভিনেতা বিশ্বাবসুকে। উল্লেখ্য, তিনি রূপকলা কেন্দ্রে পড়াশোনা করেছেন ছবির সম্পাদনা নিয়ে। সেখান থেকেই কী ছবি পরিচালনার পরিকল্পনায় আসা। কী বলছেন তিনি? বিশ্বাবসুর কথায়, "নতুন যাত্রা শুরু অবশ্যই। আমি মনে করি একজন শিল্পী একইসঙ্গে একাধিক ধরণের কাজ করতে পারেন। মঞ্চে বহু বছর ধরেই অভিনয়, লেখা এবং পরিচালনার কাজ করছি। চলচ্চিত্র মাধ্যমেও সেভাবেই কাজ করতে চাই। রূপকলা কেন্দ্র থেকে চলচ্চিত্র সম্পাদনা নিয়ে পড়াশোনাও সেই কারণেই।"
তিনি আরও বলেন, "ছোটপর্দায় মাঝখানে বেশ কিছুদিন কাজ না করলেও অভিনয় থামেনি। কিন্তু টিভির অভিনয়ের জন্য দীর্ঘ কমিটমেন্টের প্রয়োজন হয়। আগামীদিনে আমার অভিনীত, লেখা কিংবা পরিচালিত বিভিন্ন মাধ্যমের কাজ একে একে দর্শকের সামনে আসবে। সেই কাজগুলোতে সময় দেওয়ার কারনেই টিভির কাজ থেকে কিছুটা দূরে থাকতে হয়েছে। কিন্তু দর্শক আবার টিভির কাজেও আমায় দেখতে পাবেন। একজন শিল্পী হিসেবে সমস্ত মাধ্যমই আমার কাছে সমান গুরুত্বপূর্ণ। তাই অভিনয়ের কাজের বাইরেও আমি এবং আমার টিম নিজেদের গল্প বলার, নিজেদের সিরিজ তৈরি করার মাধ্যমে একটা লড়াই শুরু করেছি। কাজটা কঠিন কিন্তু আনন্দের। বেশ কিছু প্রতিষ্ঠিত শিল্পী আমাদের কাজের অংশ হয়েছেন। আমাদের লড়াই-এর অংশীদার এবং সহযোদ্ধা হয়েছেন। তাদের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ। আমরা চাই আমাদের কাজ অনেক মানুষের কাছে পৌঁছোক। আরও মানুষ আমাদের সঙ্গে আসুন। এই সিরিজ সেই প্রচেষ্টারই প্রথম ধাপ বলা যেতে পারে।"
যার ভাবনা থেকে এই মিনি সিরিজের সংলাপ, চিত্রনাট্য লিখেছেন পরিচালক বিশ্বাবসু, অভিনেত্রী অর্কজা বলেন, "আমরা একটা স্টুডিও প্রোডাকশন করতাম, হান্ড্রেড পারসেন্ট ভালবাসা বলে। শুধুমাত্র প্রেমের গল্প নিয়ে। সেই উদ্দেশ্যেই গল্পটা অডিও ফরম্যাটের জন্য লেখা। দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে আমার অন্যতম প্রিয় সিনেমা। সেখান থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে গল্পটা লেখা। বিশ্বাবসু সেটাকে সিরিজের আকার দিয়েছে। সিরিজটা আশা করছি বুমারস থেকে মিলেনিয়াল থেকে জেন-জি, সকলকেই আকর্ষণ করবে। কারণ, প্রেমই বোধহয় এমন একটা ভাষা, যেটা সব প্রজন্মের মানুষকেই একসঙ্গে গেঁথে দেয়।"
তবে এবার কী তাঁকে বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতে গল্প রচয়িতা বা সংলাপ রচয়িতা হিসাবে দেখা যাবে অর্কজাকে? তিনি বললেন, "হ্যাঁ, পরবর্তী ক্ষেত্রে বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতে নিজের গল্প নিয়ে কাজ করার ইচ্ছা তো খুব আছে। দেখা যাক, কতটা কী করতে পারি। আশা করছি নতুন উদ্দমে ফিরতে পারব।"
