স্টার জলসার ধারাবাহিক 'ও মোর দরদিয়া' শুরু থেকেই দর্শকের মন জয় করেছে। এই ধারাবাহিকের মুখ্য চরিত্র হিসেবে দেখা যাচ্ছে অভিনেত্রী রণিতা দাস ও অভিনেতা বিশ্বরূপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এই প্রথমবার বিশ্বরূপ ও রণিতার জুটি বাঁধলেও দর্শক তাঁদের দারুণ ভালবাসা দিচ্ছেন। শুরুতেই জনপ্রিয়তা পাওয়ার ফলে এই ধারাবাহিক রেটিং চার্টেও জায়গা করে নিয়েছে। 

 


গল্পে অজান্তেই অনিরুদ্ধর বাড়িতেই রান্নার কাজ নিয়ে আসে বাণী। সেখানে আসার পর থেকেই নানা বিপদের মুখে পড়ছে বাণী। মেয়ে তানিকে নিয়েই দিন কাটে তার। তবে নানা চক্রান্তের মাঝে মেয়েকে নিয়েও ভয় হয় বাণীর। যদি স্বামীর মতো একদিন মেয়েও তাকে ছেড়ে চলে যায়! কিন্তু গল্পের মোড়ে কেউ কাউকে ছেড়ে যায়নি, বরং নতুন সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। 

 

 

ছোট্ট তানির কথা রাখতে অনিরুদ্ধ বিয়ে করে বাণীকে। কিন্তু ফুলশয্যার দিন ঘটে এক ভয়ঙ্কর কাণ্ড।‌ ফুলশয্যার ঘরে ঢুকে বাণী, অনিরুদ্ধকে বলে যে এই সম্পর্ক সে কিছুতেই মেনে নিতে পারবে না। অনিরুদ্ধও তাকে জোর না করে জানায়, তানির জন্য তারা শুধু বন্ধু হয়েই থাকবে। এর মধ্যেই অনিরুদ্ধকে তার মা ফোন করে। জানায়, তানি কিডন্যাপ হয়েছে। 

 

 

বাণী এই কথা শুনে অস্থির হয়ে ওঠে। ঘর থেকে বেরোতে গিয়ে দেখে দরজা বাইরে থেকে আটকানো। এদিকে প্রোমোয় দেখা যায় তানিকে কিডন্যাপ করে বাণীর প্রাক্তন স্বামীই। অর্থাৎ তানির বাবাই তাকে কিডন্যাপ করেছে। আসলে তানিকে কিডন্যাপ করার মূল কারণ হল বাণীর ফুলশয্যার দিন তাকে বিপাকে ফেলা। আসলে এটাই অনেকদিন ধরে প্ল্যান করছে বাণীর প্রাক্তন স্বামী। এই চরিত্রে দর্শক দেখছেন অভিনেতা ফাহিম মির্জাকে।

 


এদিকে, শুভদিনে মেয়ের ক্ষতির কথা চিন্তা করে চোখে জল আসে বাণীর। মেয়েকে কি খুঁজে পাবে সে? নাকি ফুলশয্যার দিন বড় কোনও অঘটন ঘটে যাবে? 

 


 

এই ধারাবাহিকের গল্পে বাণীর সন্তান জন্ম নেওয়ার আগে তাকে একা ফেলে চলে যায় তার স্বামী। অসহায় বাণীকে সেই সময় উদ্ধার করে অনিরুদ্ধ। অনিরুদ্ধর সহযোগিতায় বাণী হাসপাতালে মেয়ের জন্ম দেয়। তারপর থেকে পেরিয়েছে বেশকিছু বছর। তবে বাণী ও তার মেয়ের সঙ্গে যেন মনের টান খুঁজে পায় অনিরুদ্ধ। কিন্তু বাণী কিছুতেই অনিরুদ্ধকে কাছে আসতে দেয় না। কিন্তু শেষমেশ অনিরুদ্ধর সঙ্গে নতুন জীবন শুরু করলেও বিপদ পিছু ছাড়ে না তার। এবার মেয়েকে নিয়ে চরম সঙ্কটের মুখে সে। কী হবে এবার? উত্তর মিলবে ধারাবাহিকের আগামী পর্বে।