আমির খান এবং তাঁর প্রাক্তন স্ত্রী রীনা দত্ত আজও খুব ভাল বন্ধু—এ কথা বহুবার সামনে এসেছে। বিচ্ছেদের পরেও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তাঁদের একসঙ্গে দেখা গেছে। সম্প্রতি মুম্বইয়ে রীনার আর্ট এক্সিবিশনে হঠাৎ হাজির হয়ে তাঁকে চমকে দিলেন আমির। রীনা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি শেয়ার করে লিখেছেন, “যখন আপনার এক্স হঠাৎ করে আপনার প্রদর্শনীতে এসে আপনাকে চমকে দেয়।”
আরেকটি পোস্টে তিনি লেখেন, “আমার শিল্পসফরের এতদিনের নিরবচ্ছিন্ন সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ আমির।”
আমিরের এই সুন্দর উদ্যোগ দেখে নেটিজেনরা দারুণ খুশি। অনেকেই আমিরের এই পদক্ষেপকে ‘মিষ্টি’ বলে প্রশংসা করেছেন।
আমির এবং রীনা ১৯৮৬ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। ১৯৯৩ সালে তাঁদের প্রথম সন্তান জুনেদ খানের জন্ম এবং ১৯৯৭ সালে কন্যা সন্তান ইরা খানের জন্ম হয়।
২০০২ সালে তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়। তবে বিচ্ছেদের পরেও তাঁরা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখেছেন এবং উৎসব-অনুষ্ঠানও একসঙ্গে উদযাপন করেন। মেয়ে ইরা খানের বিয়েতেও একসঙ্গে আনন্দে মেতে উঠেছিলেন তাঁরা। অতীতের তিক্ততা কখনওই জায়গা পায়নি তাঁদের সম্পর্কে।
কিরণ রাও আগেই এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, রীনার মতোই তাঁদের মেয়ে ইরা খানও আঁকাআঁকিতে বিশেষ দক্ষ। ইরা ২০২৪ সালে কিরণের বিয়ের সময় তাঁকে উপহার দিয়েছিলেন বার্লিনের একটি রাস্তার মনোরম অয়েল পেইন্টিং—যা কিরণের মতে ‘সবচেয়ে আবেগঘন উপহার’।
ব্যক্তিগত সম্পর্কে বিচ্ছেদ হলেও পরস্পরের প্রতি সম্মান ও বন্ধুত্ব যে অটুট থাকতে পারে, আমির ও রীনা বারবার সেই উদাহরণই স্থাপন করছেন।
রীনার সঙ্গে বিচ্ছেদের পর ২০০৫ সালে আমির বিয়ে করেন পরিচালক কিরণ রাওকে। ২০২১ সালে তাঁদেরও বিচ্ছেদ হয়।
বর্তমানে আমির সম্পর্ক রয়েছেন গৌরী স্প্র্যাটের সঙ্গে। চলতি বছরের জন্মদিনে প্রথমবার প্রকাশ্যে সকলের সঙ্গে গৌরীর পরিচয় করিয়ে দেন তিনি। বিভিন্ন জায়গায় তাঁদের একসঙ্গে দেখা গিয়েছে। বিয়ের পরিকল্পনা সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে আমির বলেন, “আমরা সম্পূর্ণ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তবে দু’বার বিয়ে করেছি। এখন ৬০ বছর বয়সে বিয়ে করা হয়তো মানায় না… তবে দেখা যাক।”
আমিরকে সর্বশেষ দেখা গিয়েছে ‘সিতারে জমিন পর’ ছবিতে, যা মুক্তি পায় চলতি বছরের জুনে এবং বক্স অফিসে প্রশংসনীয় সাফল্য পায়।
তিনি আগে জানিয়েছিলেন যে লোকেশ কনগরাজ পরিচালিত একটি সুপারহিরো ছবিতে অভিনয় করবেন, তবে পরবর্তীতে শোনা যায় তিনি প্রকল্পটি থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। এ বিষয়ে এখনও কোনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়নি।
