ভ্যানিটি ভ্যান থেকে জিম ট্রেনার— অতিরিক্ত খরচের বোঝা প্রযোজকদের ঘাড়ে চাপানো লজ্জাজনক, বলি-তারকাদের কড়া সমালোচনায় আমির।  প্রযোজকদের ঘাড় ভেঙে বলিউডে তারকাদের বাড়াবাড়ি রকমের বিলাসিতা নিয়ে রাখঢাক না রেখেই এবার মুখ খুললেন আমির খান। সম্প্রতি, এক সাক্ষাৎকারে অভিনেতা স্পষ্ট জানালেন— অনেক তারকা আছেন যাঁরা প্রযোজকদের ঘাড়ে এমন সব খরচ চাপিয়ে দেন, যার সঙ্গে সিনেমা বানানোর কোনও যোগই নেই।

ভ্যানিটি ভ্যান, লাইভ কিচেন, এমনকী  ব্যক্তিগত ড্রাইভার বা ঘরোয়া সাহায্যকারীদের বেতন পর্যন্ত প্রযোজকদের দিয়ে দেওয়ানো হচ্ছে বলে দাবি আমিরের। এই প্রবণতাকে তিনি আখ্যা দিলেন “লজ্জাজনক ও ইন্ডাস্ট্রির জন্য ক্ষতিকর”।

“আমার ড্রাইভার, আমার দায়িত্ব”, সোজাসাপটা মন্তব্য আমিরের। মিঃ পারফেকশনিস্ট-এর কথায়, “আমি নিজের উপার্জনে দিব্যি আছি। আমার গাড়িচালক বা সহকারীকে কেন প্রযোজক টাকা দেবেন? তারা তো আমার জন্য কাজ করছে, ছবির জন্য নয়। এখন তো শুনছি তারকাদের জিম ট্রেনার, কুক, এমনকী টিভির  বিলও প্রযোজক দিচ্ছেন! আগামীতে কি আমার ছেলের স্কুল ফিও প্রযোজক দেবেন?”

তিনি আরও যোগ করেন, আদর্শ পরিস্থিতিতে প্রযোজককে শুধুই শিল্পীর প্রোডাকশন খরচ বহন করতে হবে— যেমন রূপসজ্জা, রূপটান, কেশসজ্জা, পোশাক। বাকি ব্যক্তিগত চাহিদা শিল্পীর নিজেরই সামলানো উচিত।

আমিরের অভিযোগ, অনেকেই নিজেদের তারকাখ্যাতি ব্যবহার করে প্রযোজকদের উপর চাপ তৈরি করেন। এতে বাজেট ফুলে ফেঁপে ওঠে, আর শেষ পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত হয় গোটা ইন্ডাস্ট্রি। “এটা ইন্ডাস্ট্রির জন্য ভীষণ ক্ষতিকর অভ্যাস,” তিনি সাফ জানিয়ে দেন।

কাজের দিক থেকে, আমিরকে শেষ দেখা গেছে ‘সিতারে জমিন পর’ ছবিতে। ২০০৭-এর ব্লকবাস্টার ‘তারে জমিন পার’-এর আধ্যাত্মিক সিক্যুয়েল বলা হচ্ছে একে। ছবিটি আসলে ২০১৮ সালের স্প্যানিশ ফিল্ম ‘চ্যাম্পিয়ন্স’-এর অফিসিয়াল রিমেক।

ছবিতে এক বাস্কেটবল কোচ সাসপেন্ড হওয়ার পর সমাজসেবামূলক কাজ করতে বাধ্য হন। সেখানেই তিনি প্রতিবন্ধী কিছু ক্রীড়াবিদকে প্রশিক্ষণ দেন, যারা বড় টুর্নামেন্টের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। শেষমেশ কী হল, তাই নিয়েই এগোয় ছবি। ছবিতে এই স্কেটবল কোচের ভূমিকাতেই দেখা গিয়েছে আমিরকে। 

২০২৩-এর অক্টোবরে এ ছবির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হয়, চার মাস ধরে ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে শুটিং চলে এবং জুন ২০২৪-এ শেষ হয়। অবশেষে মুক্তি পায় ২০ জুন ২০২৫-এ। বিশ্বব্যাপী ২৬৬ কোটি টাকা আয় করে ২০২৫ সালের তৃতীয় সর্বোচ্চ আয়কারী হিন্দি ছবি ও চতুর্থ সর্বোচ্চ আয়কারী ভারতীয় ছবি হয়ে ওঠে ‘সিতারে জমিন পর’।