সংবাদ সংস্থা মুম্বই: আমির খান শুধু এক জন দক্ষ অভিনেতা-ই নন, পাশাপাশি বলিউডের এক নিঃসন্দেহে দূরদর্শী ছবি নির্মাতাও—যিনি বারবার সাহস করে বড়পর্দায় আনেন অনালোচিত, স্পর্শকাতর বিষয়। এইমুহূর্তে সমাজমাধ্যমে চর্চার কেন্দ্রে তাঁর সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি ‘সিতারে জমিন পর’। সম্প্রতি, এক খোলামেলা সাক্ষাৎকারে তিনি জানালেন, কেন তারে জমিন পর (২০০৭)–ছবির পরে আর কোনও ছবির পরিচালকের আসনে বসেননি।
আমিরের স্পষ্ট জবাব—“আমি অভিনয় খুব ভালবাসি। আর পরিচালনায় ঢুকে পড়লে হয়তো অভিনয়টাই ছেড়ে দিতে হবে।” ‘দঙ্গল’ অভিনেতার ব্যাখ্যা, “পরিচালনা ব্যাপারটা এতটাই সৃষ্টিশীল আর তার পাশাপাশি এই কাজটা এতটাই সময় নিয়ে নেয়, যে সেটা করলে হয়তো অভিনয়কেই সাদামাটা বা বোরিং বলে মনে হবে। আমি এমন একজন মানুষ, যে কোনও কাজটা মন থেকে না করতে পারলে করতে পারি না। তাই যদি দেখি একঘেঁয়ে লাগছে, তাহলে সেই কাজ করতে পারব না”— অকপট স্বীকারোক্তি আমিরের।
কিন্তু তারে জমিন পর ছবিতে পরিচালকের আসনে বসলেন কীভাবে? প্রশ্নের উত্তরে 'মিঃ পারফেকশনিস্ট' জানান, তিনি শুরুতে ছবিটি পরিচালনার কথা ভাবেননি। বরং একটা সমস্যার কারণে তাঁকে পরিচালকের আসনে বসতে হয়। আর সেই প্রথম কাজই তাঁর একমাত্র পরিচালনা হয়ে রয়ে গিয়েছে। তবে তিনি স্পষ্ট করে দেন— “যেদিন আমি আবার কোনও ছবি পরিচালনা করব, সেদিন থেকে অভিনয় ছেড়ে দেব।” এদিকে ‘সিতারে জমিন পর’–এর বিষয়ে আমির জানালেন, এই ছবির মূল ভাবনা ছিল পরিচালক আর এস প্রসন্ন-র। আমির শুধুমাত্র অভিনেতা, কখনও নিজেকে পরিচালক হিসেবে জড়াননি।
২০ জুন মুক্তিপ্রাপ্ত এই ছবিতে আমির অভিনয় করেছেন বাস্কেটবল কোচ গুলশন-এর চরিত্রে, যিনি বিশেষভাবে সক্ষম কিছু শিশুকে তৈরি করেন একটি বড় চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য। তাঁর স্ত্রীর ভূমিকায় রয়েছেন জেনেলিয়া ডি’সুজা। ছবিটি ‘তারে জমিন পর’–এর ‘স্পিরিচুয়াল সিক্যুয়েল’ বলেই ধরা হচ্ছে।
