২০০৬ সালে মুক্তি পেয়েছিল বিশাল ভরদ্বাজের কালজয়ী ছবি ‘ওমকারা’। শেক্সপিয়রের ওথেলো-র  ছায়ায় তৈরি সেই ছবিতে অজয় দেবগণ, করিনা কাপুর, সইফ আলি খান, কঙ্কনা সেনশর্মা, বিবেক ওবেরয়, বিপাশা বসু থেকে নাসিরুদ্দিন শাহ—সবাই দারুণ অভিনয়ের জন্য প্রশংসিত হয়েছিলেন। তবে চরিত্রগুলির ভিড়ে যে  নিঃসন্দেহে কাল্ট মর্যাদায় পৌঁছে গিয়েছিলেন, তিনি হলেন সইফ আলি খান অভিনীত ‘ল্যাংড়া ত্যাগী’। ছবির মুক্তির ১৯ বছর পর, ফের আলোচনায় সেই চরিত্র। জোর খবর, প্রযোজক কুমার মঙ্গত পাঠক এবং অভিষেক পাঠক প্রস্তুতি নিচ্ছেন ‘ল্যাংড়া ত্যাগী স্পিন-অফ’ বানানোর।

 

 

সূত্রের খবর, ল্যাংড়া ত্যাগীর চরিত্র আজও ভারতীয় ছবির পপ-কালচারের অংশ। কয়েক বছর অন্তরই কোথাও না কোথাও সইফ অভিনীত এই চরিত্রের নাম আলোচনায়উঠে আসে। দর্শকের সেই ভালবাসা ও কৌতূহলকে মাথায় রেখেই নতুন গল্পে ফেরানো হচ্ছে তাঁকে। ছবির ভাবনাটা নাকি এমন, যা ওমকারার জগতকেই আবার নতুনভাবে সাজাবে।

 

কবে থেকে শ্যুটিং শুরু ল্যাংড়া ত্যাগীর স্পিন-অফের? চিত্রনাট্য লেখার কাজ ইতিমধ্যেই জোর কদমে চলছে। ২০২৬ সালের মধ্যেই ক্যামেরা অন করার পরিকল্পনা নিয়েছেন প্রযোজকরা। তা ছবিতে কি সইফ ফিরবেন ল্যাংড়া ত্যাগী হয়েই? না কি সেই চরিত্রে দেখা যাবে নতুন কোনও মুখ? সবচেয়ে বড় রহস্য এখানেই। সূত্র জানাচ্ছে, সইফ আলি খান আবার ফিরতে পারেন ‘ল্যাংড়া ত্যাগী’ হয়ে। তবে নির্মাতারা চাইলে একেবারেই নতুন কোনও তরুণ অভিনেতাকে কাস্ট করে ছবিটিকে রিবুটের আকারও দিতে পারেন। অর্থাৎ, এখনই ধোঁয়াশায় রাখা হয়েছে আসল চমক। তাহলে সইফ কি ফিরছেন ল্যাংড়া হয়ে না কি নতুন কোনও তরুণ অভিনেতার হাতে উঠবে ‘ল্যাংড়া ত্যাগী’র মশাল? এই উত্তর আপাতত গোপনই রেখেছেন নির্মাতারা।


এই মুহূর্তে কুমার মঙ্গল ও অভিষেক পাঠকের ব্যস্ততা কিন্তু এখানেই সীমাবদ্ধ নয়। তাঁদের হাতে রয়েছে বড় বড় প্রজেক্ট—‘দৃশ্যম ৩’, ‘শয়তান ’, ‘হাউজওয়াইফ’ সহ আরও একাধিক ছবি। তবে দর্শকের উত্তেজনার কেন্দ্রবিন্দু নিঃসন্দেহে ‘ল্যাংড়া ত্যাগী’। ১৯ বছর আগেও বড়পর্দায় সইফ ছিলেন বিশ্বাসঘাতকতা আর ধূর্ততার প্রতীক। আজও দর্শকের মনে সেই চরিত্রের ছাপ অমলিন। তাই প্রশ্ন একটাই—নতুন অবতারে ‘ল্যাংড়া ত্যাগী’ আবার কাকে দিয়ে দর্শককে শিহরিত করবেন নির্মাতারা?