আজকাল ওয়েবডেস্ক: গত কয়েক মাসে বহু বাণিজ্যিক ব্যাঙ্ক তাদের ফিক্সড ডিপোজিট সুদের হার কমিয়েছে। সাধারণ গ্রাহক যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তেমনই সিনিয়র সিটিজেনরাও আগের মতো আকর্ষণীয় রিটার্ন পাচ্ছেন না। তবে এর মধ্যেও কিছু ছোট ফাইন্যান্স ব্যাঙ্ক এখনও তুলনামূলক বেশি সুদ দিচ্ছে। সেপ্টেম্বর ২০২৫ অনুযায়ী, সিনিয়র সিটিজেনরা সর্বোচ্চ ৮.৪% পর্যন্ত সুদ পেতে পারেন। তবে এই সুযোগ সর্বাধিক ৩ কোটি টাকা পর্যন্ত জমায় প্রযোজ্য।


সূর্যোদয় স্মল ফাইন্যান্স ব্যাঙ্ক
৫ বছরের এফডিতে সর্বোচ্চ ৮.৪% সুদ দিচ্ছে। হার কার্যকর হয়েছে ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ থেকে।


উৎকর্ষ স্মল ফাইন্যান্স ব্যাঙ্ক
২ থেকে ৩ বছরের এফডিতে ৮.১৫% সুদ পাওয়া যাচ্ছে। হার কার্যকর হয়েছে ২৫ জুলাই ২০২৫ থেকে।


জানা স্মল ফাইন্যান্স ব্যাঙ্ক
২ থেকে ৩ বছর ও ৫ বছরের এফডিতে ৮% সুদ দিচ্ছে। হার কার্যকর হয়েছে ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ থেকে।


শিবালিক স্মল ফাইন্যান্স ব্যাঙ্ক
১৮ মাস থেকে ২৪ মাসের এফডিতে ৭.৮% সুদ দিচ্ছে। হার কার্যকর হয়েছে ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ থেকে।

আরও পড়ুন: খাবারের টেবিলে প্লাস্টিক! গবেষণায় চাঞ্চল্যকর তথ্য


ছোট ফাইন্যান্স ব্যাঙ্কে রাখা আমানতও ডিআইসিজিসি-র আওতায় আসে, তবে কেবলমাত্র ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত। অর্থাৎ এর বেশি টাকার এফডি কোনও কারণে ঝুঁকির মুখে পড়লে ডিআইসিজিসি ক্ষতিপূরণ দেবে না।


অর্থ বিশেষজ্ঞরা তাই পরামর্শ দেন যত বেশি সুদই পাওয়া যাক না কেন, ছোট ফাইন্যান্স ব্যাঙ্ক ৫ লাখ টাকার বেশি রাখা উচিত নয়। তাতে ঝুঁকি সীমিত থাকবে এবং বীমা কভারেজের মধ্যেই নিরাপত্তা মিলবে। এফডি থেকে যে সুদ পাওয়া যায়, তা আয়ের সঙ্গে যোগ হয়ে করযোগ্য হয়। ব্যাঙ্কগুলো নির্দিষ্ট সীমার ওপরে গেলে সুদের উপর টিডিএস কাটে। সাধারণ আমানতকারীদের ক্ষেত্রে, যদি এক অর্থবছরে এফডি থেকে সুদের আয় ৫০,০০০ টাকা ছাড়ায়, তবে ১০% হারে টিডিএস কাটা হয়। সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য এই সীমা ১ লাখ টাকা। অর্থাৎ বছরে ১ লাখ টাকার কম সুদ হলে কোনও টিডিএস কাটবে না।


তবে যার করযোগ্য আয় নেই, তাঁরা ফর্ম 15H জমা দিয়ে টিডিএস কাটা এড়াতে পারেন। বর্তমানে নতুন কর ব্যবস্থায় করমুক্ত আয়ের সীমা ১২ লাখ টাকা, আর পুরনো ব্যবস্থায় ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত। এই সীমার ভেতরে আয় থাকলে টিডিএস এড়ানো সম্ভব। সুদ কমে গেলেও স্থায়ী ও ঝুঁকিমুক্ত আয়ের জন্য এফডি এখনও সিনিয়র সিটিজেনদের কাছে জনপ্রিয়। পেনশন বা সঞ্চয়ের বাইরে নিয়মিত নগদ প্রবাহের জন্য এটি ভরসার জায়গা। তবে ঝুঁকি ও কর–দুটোই মাথায় রেখে পরিকল্পনা করলে বিনিয়োগ নিরাপদ ও লাভজনক হতে পারে।