আজকাল ওয়েবডেস্ক: ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে এখন যুদ্ধের আবহ। বিগত দু-একদিনে স্টক মার্কেটে যে উত্থান হয়েছিল সেখান থেকে শুক্রবার বিরাট পতন লক্ষ্য করা গেল। বিনিয়োগকারীরা শুক্রবার অনেকটাই পিছিয়ে গেলেন বিনিয়োগের দিকে। 


পহেলগাঁওতে হামলার পর ভারত কড়া মনোভাব দেখিয়েছে পাকিস্তানকে। তারা ইতিমধ্যে কঠোর থেকে কঠোরতর দিক অবলম্বন করেছে। শিমলা চুক্তি থেকে শুরু করে পাকিস্তানকে জল দেওয়া নিয়ে ভারতের মনোভাব প্রভাব ফেলেছে বাজারে। এই পরিস্থিতিকে স্টক মার্কেট খানিকটা যুদ্ধের পরিস্থিতি বলেই বিচার করছে।


এদিন এক শেয়ার বিশেষজ্ঞ বলেন, যেভাবে দুই দেশের ভৌগলিক সীমানাতে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে সেখান থেকে বিনিয়োগকারীরা এখন আর বিনিয়োগের পথে যেতে চাইছেন না। ফলে একধাক্কায় বাজায় পড়েছে অনেকটাই।


শুক্রবার সেনসেক্স ১ হাজার পয়েন্ট নিচের দিকে চলে যায়। পাশাপাশি নিফটিও কমে যায় ৩০০ পয়েন্ট। ইনফোসিস এদিন ০.৬০ শতাংশ লাভ করেছে। ইন্ডাসল্যান্ড ব্যাঙ্ক লাভ করেছে ০.৩১ শতাংশ। টিসিএস লাভ করেছে ০.২৭ শতাংশ। টেক মাহিন্দ্রা লাভ করেছে ০.২১ শতাংশ। 


তবে দিনের শুরু থেকে প্রথম ধাক্কা খায় অ্যাক্সিস ব্যাঙ্ক। তারা ৪.৮০ শতাংশ ক্ষতির সামনে পড়ে। আদানি পোর্টের শেয়ার পড়েছে ৪.০৯ শতাংশ। বাজাজ ফিনসার্ভের শেয়ার পড়েছে ৩.৫৯ শতাংশ। পাওয়া গ্রিডের শেয়ার পড়েছে ৩.১৮ শতাংশ। মোট অন্তর্বর্তী ধস নেমেছে ৩ শতাং। 


তবে মার্কেটের এই খারাপ পরিস্থিতিতেও খানিকটা নিজের জায়গা ধরে রেখেছে ৩.৮৬ শতাংশ। ইনফোসিস গেন করেছে ০.৫৯ শতাংশ। টেক মাহিন্দ্রা গেন করেছে ০.৩৫ শতাংশ। টিসিএস ০.৩৩ শতাংস গেন করেছে। ইন্ডাসল্যান্ড ব্যাঙ্ক খানিকটা স্বস্তি দিয়ে পেয়েছে ০.২৫ শতাংশ। তবে স্টক মার্কেটের সার্বিক ধস চিন্তায় ফেলেছে বিনিয়োগকারী থেকে শুরু করে শেয়ার বিশেষজ্ঞ সকলকেই।


প্রসঙ্গত, পহেলগাঁও কাণ্ডের পর বৃহস্পতিবার কেন্দ্র সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছিল। সেই বৈঠক শেষে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজু বলেন, ‘প্রতিরক্ষামন্ত্রী সর্বদলীয় বৈঠকে এই হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন। ভারত সরকার দ্রুত কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়েছে সর্বদলীয় বৈঠকে। এটি খুবই দুঃখজনক ঘটনা। দেশের সবাই চিন্তিত। আতঙ্কিত। কঠোর পদক্ষেপ নিতে চায় সরকার।’