আজকাল ওয়েবডেস্ক: ভারতের অর্থনৈতিক কাঠামো যদি দেখতে হয় তাহলে সেখানে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে ব্যাঙ্কগুলির। ভারতের বাজারে সরকারি ব্যাঙ্কের পাশাপাশি বেসরকারি ব্যাঙ্কও রয়েছে। সাধারণ মানুষ তাদের প্রতিদিনের কাজ এখান থেকেই সেরে থাকেন। এখান থেকেই তাদের ব্যবসা থেকে শুরু করে বেতন সবই করা হয়।
ভারতে নতুন ব্যাঙ্ক আসতে চলেছে বলেই খবর মিলেছে। ইন্ডিয়া টুডের খবর অনুসারে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক এবং আরবিআই এবিষয়ে নিজেদের মধ্যে বৈঠক সেরে নিয়েছে। প্রায় এক দশক ধরে ভারতের বাজারে নতুন ব্যাঙ্কের দেখা মেলেনি। সেখান থেকে নতুন ব্যাঙ্ক ভারতের অর্থনৈতিক কাঠামোকে আরও শক্ত করবে।
কেন্দ্রীয় সরকার এবং সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক এবিষয়ে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে। আগামী শতকে যাতে ব্যাঙ্কগুলি ভারতের উন্নতিতে বিশেষ ভূমিকা নিতে পারে সেদিকে জোর দেওয়া হবে। তবে এগুলি এখনও পর্যন্ত আলোচনার স্তরেই রয়েছে। কবে থেকে দেশে নতুন ব্যাঙ্ক চালু হবে সেবিষয়ে কোনও স্পষ্ট তথ্য এখনও মেলেনি।
যে খবর সামনে এসেছে সেখান থেকে দেখা গিয়েছে বেশ কয়েকটি বৃহৎ প্রতিষ্ঠানকে ব্যাঙ্কের লাইসেন্স দেওয়া হতে পারে। তবে তাদের কিছু বিধিনিষেধ থাকবে। বিধি থাকবে তাদের শেয়ারের ওপরেও। ব্যাঙ্ক নয় এমন আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে যাতে পুরোপুরি ব্যাঙ্ক করে গড়ে তোলা যায় সেদিকে জোর দেওয়া হতে পারে। ফলে সেখান থেকে বিদেশি বিনিয়োগের দিকটিও খুলে যাবে বলেই খবর।
বিষয়টি নিয়ে আরবিআই এবং অর্থমন্ত্রকের পক্ষ থেকে কিছুই বলা হয়নি। সেখানে ভারতের শেয়ার বাজার কোন দিকে যায় সেই দিকটিও খতিয়ে দেখা হতে পারে। ২০১৪ সালে কেন্দ্রীয় সরকার নতুন ব্যাঙ্কের লাইসেন্স দিয়েছিল। এরপর ২০১৬ সালে প্রচুর আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ব্যাঙ্ক খোলার দিকটি নিয়ে আবেদন করা হয়েছিল। তবে সেই পথে যায়নি কেন্দ্রীয় সরকার।

কর্তৃপক্ষরা জানিয়েছেন ছোটো ব্যাঙ্কগুলিকে একত্রিত করে বড় ব্যাঙ্ক করে তোলা হবে। সেখানে ব্যাঙ্ক নয় এমন আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলি ব্যাঙ্কের লাইসেন্স পাওয়ার দিকে বাড়তি সুবিধা পাবে। বর্তমানে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া এবং এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক সম্পদের নিরিখে বিশ্বের ১০০ টি ব্যাঙ্কের মধ্যে রয়েছে। সেখানে চিন এবং আমেরিকার ব্যাঙ্কগুলি সেরা ১০ টি ব্যাঙ্কের তালিকায় রয়েছে।
ভারতের ব্যাঙ্কিং পরিষেবা অত্যন্ত কঠিন নিয়ম দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। ফলে সেখানে প্রতিটি ভারতীয়র সম্পদ থাকার পাশাপাশি বিদেশি বিনিয়োগ এসে উপস্থিত হয়। ভারত যাতে আগামীদিনে আর্থিকভাবে আরও শক্তিশালী হতে পারে সেদিকে নজর রেখে নতুন ব্যাঙ্ক তৈরিতে সরকার সায় দিতে পারে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০৪৭ সালের মধ্যে দেশকে একটি উন্নত আর্থিক দেশ হিসেবে তৈরি করার স্বপ্ন নিয়েছেন। সেই কাজকে করতে হলে দেশের ব্যাঙ্কগুলিকে বড় ভূমিকা নিতে হবে। ফলে সেখান থেকে জিডিপি বাড়বে।
আরও পড়ুন: ট্রাম্প হল ‘সুপারম্যান’, নতুন অবতারের কারণ কী জানিয়ে দিল হোয়াইট হাউস
আরবিআই গভর্নর সঞ্জয় মালহোত্রা জানিয়েছেন ভারতের অর্থনীতিতে পরিবর্তন করতে হলে নতুন ব্যাঙ্ক নিয়ে আসার দিকটি চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। গ্রাহকদের যাতে আরও বেশি স্বস্তি দেওয়া যায় সেই দিকটিও সকলের নজরে রয়েছে।
তবে দেশে যদি নতুন ব্যাঙ্ক আসে তাহলে সেখানে ভারতের অর্থনীতি অনেকটা উন্নত হবে। এবার এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকার এবং আরবিআই কোন সিদ্ধান্ত নেয় সেদিকে সকলের নজর রয়েছে। কার কপালে শিকে ছিঁড়বে সেটাই এবার দেখার।
