আজকাল ওয়েবডেস্ক: মার্কিন শুল্কের চাপ উপেক্ষা করে ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) ভারতের অর্থনীতি আরও গতি পেয়েছে। এই সময়কালে দেশের মোট জাতীয় উৎপাদন বা জিডিপি (জিডিপি) বেড়েছে ৮.২ শতাংশ। গত ৬টি ত্রৈমাসিকের মধ্যে এবারেই দেশের অর্থনীতি সবথেকে দ্রুত বেড়েছে। 

এই রেকর্ড বৃদ্ধি বেশ অপ্রত্যাশিত। ২০২৪ সালের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে বারতীয় অর্থনীতির বৃদ্ধির হার ছিল ৫.৬ শতাংশ। চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে বৃদ্ধির হার ছিল ৭.৮ শতাংশ। দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে বৃদ্ধির হার সব ছাপিয়ে গিয়েছে। 

ন্যাশনাল স্ট্যাটিসটিক্স অফিস (এনএসও) প্রকাশিত পরিসংখ্যানগুলিতে স্পষ্ট যে, উৎপাদন, নির্মাণ এবং পোক্ত পরিষেবা খাতের জেরেই ভারতীয় অর্থনীতির এই ঊর্ধ্বগতি। উৎপাদন খাত ৯.১ শতাংশ, নির্মাণ খাত ৭.২ শতাংশ এবং বৃহত্তর মাধ্যমিক খাত ৮.১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। অর্থনীতির পরিষেবা খাতটিও দারুন ফলাফল করেছে। আর্থিক, রিয়েল এস্টেট এবং পেশাদার পরিষেবা ক্ষেত্রে ১০.২ শতাংশ বৃদ্ধির ফলে তৃতীয় খাত ৯.২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

ব্যক্তিগত খরচও ভাল প্রবণতা দেখিয়েছে। দ্বিতীয় প্রান্তিকে প্রকৃত ব্যক্তিগত চূড়ান্ত খরচ ব্যয় (PFCE) ৭.৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা গত বছরের একই সময়ের ৬.৪ শতাংশ ছিল, যা অসম বর্ষাকালীন পরিস্থিতি সত্ত্বেও স্থিতিশীল চাহিদার ইঙ্গিত দেয়। তবে কৃষি পিছিয়ে রয়েছে। কৃষি খাত মাত্র ৩.৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং বিদ্যুৎ, গ্যাস এবং জল সরবরাহের মতো ইউটিলিটি খাত ৪.৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে

জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে জিডিপি ৪৮.৬৩ লক্ষ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে, যা এক বছর আগের ৪৪.৯৪ লক্ষ কোটি টাকা থেকে বেশি। 

প্রত্যাশার চেয়েও ভারতীয় অর্থনীতির এই রেকর্ড হারে আগ্রগতি বিশ্বের দ্রুত বর্ধনশীল প্রধান অর্থনীতি হিসেবে ভারতের অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করে এবং বছরের দ্বিতীয়ার্ধে একটি আশাবাদী সুর তৈরি করে। 

যদিও ভারতের জিডিপি, জিভিএ-সহ জাতীয় পরিসংখ্যানের মান নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডার (আইএমএফ)। 
সংস্থার বার্ষিক মূল্যায়নে ভারতের ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টস ডেটাকে ‘সি’ গ্রেড দেওয়া হয়েছে। আইএমএফের এসব ব্যাপারে যে গ্রেডেশন পদ্ধতি রয়েছে, তাতে এই গ্রেড হল চারটি গ্রেডের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন।