আজকাল ওয়েবডেস্ক: কবে থেকে চালু হবে অষ্টম বেতন কমিশন তা নিয়ে এখনও রয়েছে জল্পনা। তবে প্রতিটি কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী এবং পেনশনভোগীরা তাকিয়ে রয়েছেন এর দিকেই।
ষষ্ঠ বেতন কমিশনে ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর ছিল ১.৯২। তবে সপ্তম বেতন কমিশনে সেটা গিয়ে হয় ২.৫৭। এবার মনে হতে পারে ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর কীভাবে কাজ করে। তাহলে ধরে নিন যদি কোনও কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীর সর্বনিম্ন বেতন হয় ১৮ হাজার টাকা আর সেখানে যদি অষ্টম বেতন কমিশনে এই ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর হয় ২.০। তাহলে বেসিক বেতন হয়ে যাবে ৩৬ হাজার টাকা। এখানেই শেষ নয় যদি ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর হয় ২.৫৭ তাহলে বেসিক বেতন হবে ৪৬ হাজার ২৬০ টাকা।
অষ্টম বেতন কমিশনে বিশেষ গুরুত্ব পেতে পারে হাউস রেন্ট অর্থাৎ ঘরভাড়া এবং টিএ। বর্তমানে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরা ডিএ পান ৫৫ শতাংশ। সেখানেও নজর থাকতে পারে ক্যাবিনেটের। যদি চলতি বছরে আরও দুবার ২ শতাংশ করে ডিএ বাড়ে তাহলে মোট ডিএ হতে পারে ৫৯ শতাংশ। সেটা আরও স্বস্তি দেবে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের। যদি আগামী দুটি পর্যায়ে ডিএ ৩ শতাংশ করে বাড়ে তাহলে মোট ডিএ হবে ৬১ শতাংশ।
এবার অষ্ঠম বেতন কমিশনের বিমার বিষয়ে কোনও দৃঢ় সুপারিশ করা হয় কিনা তাই দেখার। নতুন প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে কর্মচারী ও পেনশনভোগীরা আরও ভালো স্বাস্থ্য সুবিধা পেতে পারবেন। বিশেষ করে সেইসব মানুষ উপকৃত হবেন যারা ছোট শহরে বাস করেন এবং বর্তমানে সিজিএইচএস-এর সুবিধা পেতে অক্ষম।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একটি বিমা-ভিত্তিক প্রকল্প ক্যাশলেশ চিকিৎসার প্রক্রিয়াটিকে আরও সহজ করে তুলবে । আরও অনেক হাসপাতাল সেই ক্ষেত্রে এই নেটওয়ার্কে যোগ দেবে। তবে এ বিষয়ে এখনও কোনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়নি সরকারের তরফে। সবার নজর এখন অষ্টম বেতন কমিশনের রিপোর্টের দিকে, যা আগামী কয়েক মাসের মধ্যে প্রকাশ্যে আসতে পারে।
