আজকাল ওয়েবডেস্ক: ডুয়ার্সে ঘুরতে যাবেন, কিন্তু ঘুরবেন কোথায় কোথায়? অনেকের কাছেই সঠিক তথ্য থাকে না। ঘুরতে যাওয়ার আগে খোঁজ নিতে হয় বিস্তর। তবে এবার আর খোঁজ করার জন্য বেশি ভাবতে হবে না। মুহূর্তে কিউ আর কোড স্ক্যান করেই পর্যটকরা জানতে পারবেন আলিপুরদুয়ার জেলার বিভিন্ন পর্যটন স্থল সম্পর্কে।আর এই বিশাল উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে ইস্টার্ন ডুয়ার্স ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন-এর পক্ষ থেকে। এই উদ্যোগ পশ্চিমবঙ্গ-এর মধ্যে প্রথম বলে দাবি ওই সংগঠনের সদস্যদের।

ডুয়ার্স মানে চিরসবুজের রাজত্ব। এখানে যেমন রয়েছে দিগন্তবিস্তৃত চা বাগান, তেমনি রয়েছে বনজঙ্গল, হাতি, গন্ডার, বাইসন, লেপার্ড সহ নানান রকমের হরিণের আনাগোনা। আবার ডুয়ার্স মানে চঞ্চল নদীদের উপাখ্যান। এই সৌন্দর্যকে উপভোগ করার টানে ডুয়ার্স ছুটে আসেন পর্যটকরা। ডুয়ার্সের বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে থাকা পর্যটন স্থলগুলিকে ১৩টি সাৰ্কিটে ভাগ করেছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা। পশ্চিমবঙ্গ ও অসম দুটি রাজ্যেই ডুয়ার্সের বিস্তৃতি। পর্যটন ব্যবসায়ী বিশ্বজিৎ সাহা জানাচ্ছেন, কবি জীবনানন্দ দাসের কবিতায় ধানসিঁড়ি নদীর কথা উল্লেখ রয়েছে। এই ধানসিঁড়ি নদী রয়েছে অসমের এক স্থানে। ডুয়ার্সের ব্যাপ্তি সেবক-ওদলাবাড়ি থেকে অসম পর্যন্ত। কিন্তু ক্রমেই তা ছোট হয়ে আসছে। ডুয়ার্স সম্পর্কে সম্যক জ্ঞানের জন্যই পর্যটকদের কাছে তুলে ধরা হচ্ছে এই কিউ.আর কোড নির্ভর তথ্য প্রদানের ব্যবস্থা। 

পর্যটন ব্যবসায়ী বিশ্বজিৎ সাহা জানান, কিউ.আর কোড স্ক্যান করলে আলিপুরদুয়ার জেলার পর্যটন ক্ষেত্রগুলি সম্পর্কে জানতে পারবেন পর্যটকরা। যারা শুনবেন তারা হেডসেট ব্যবহার করবেন। আর যারা পড়তে চান তারা ভয়েস ওভার মিউট করে পড়বেন। সব তথ্য তাঁরা জানতে পারবেন। জলদাপাড়ায় বিভিন্ন জায়গায় লাগানো এই কিউ.আর কোড স্ক্যান করে ডুয়ার্সকে জানার ব্যবস্থা প্রথম শুরু হল। এরপর রাজাভাতখাওয়া, কুমারগ্রাম, জয়গাঁ সব স্থানেই দেওয়া হবে এই কিউ আর কোড গুলি, তেমনটাই জানা গিয়েছে