আজকাল ওয়েবডেস্ক: এবার বিদেশেও রাজ্যের মাছ রপ্তানি করার উদ্যোগ নিল রাজ্য সরকার। চলছে প্রস্তুতি। খুব শীঘ্রই পশ্চিমবঙ্গের মাছ বিদেশে পাড়ি দেবে বলে জানিয়েছেন রাজ্যের মৎস্যমন্ত্রী বিপ্লব রায় চৌধুরী।
এবিষয়ে আজকাল.ইন-কে তিনি বলেন, "মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি সবসময় চান আমাদের রাজ্য যেন প্রতিটি বিষয়ে স্বয়ং সম্পূর্ণ হয়। তিনি সবসময় আমাদের এবিষয়ে উৎসাহিত করেন। ফলে তাঁরই অনুপ্রেরণায় রাজ্যের মানুষের মাছের চাহিদা মিটিয়েও এবার আমরা উদ্যোগ নিচ্ছি বিদেশে আমাদের রাজ্যের মাছ পাঠাতে। তবে কোনো কাটা মাছ আমরা পাঠাবো না। সব মাছই গোটা অবস্থায় পাঠানো হবে। আপাতত চিন্তাভাবনা চলছে রুই, কাতলা, মৃগেল ও ভেটকি মাছ পাঠানোর বিষয়ে। পরবর্তী সময়ে অন্যান্য মাছ নিয়ে চিন্তাভাবনা করা যাবে। সব মাছই গোটা অবস্থায় পাঠানো হবে।"

একটা সময় এই রাজ্যকে অন্ধ্রপ্রদেশের মাছের উপর নির্ভর করে থাকতে হলেও আপাতত সেই নির্ভরতা অনেকাংশেই কাটিয়ে ওঠা গিয়েছে বলে মন্ত্রী জানিয়েছেন। তাঁর কথায়, "আগে যে পরিমাণ মাছ অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে এরাজ্যে আসত তার থেকে অনেক কম পরিমাণ মাছ এখন রাজ্যে আসছে। কারণ মাছ চাষে পশ্চিমবঙ্গ এখন অনেক এগিয়ে গিয়েছে। আধুনিক বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে মাছ চাষের জন্য রাজ্য সরকার সবরকম সহযোগিতা করছে। পুকুর বা অন্যান্য বড় জলাশয়গুলিতে এই পদ্ধতিতে চাষের জন্য মাছের উৎপাদনও অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। রাজ্য সরকারের তরফে স্থানীয় স্তরে এরজন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ফলে বহু মানুষ এখন নিজের পায়ে দাঁড়ানোর জন্য মাছ চাষের দিকে ঝুঁকছেন। সব মিলিয়ে একটা সম্মিলিত প্রচেষ্টাই রাজ্যে মাছ চাষকে দিন দিন এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।"
উদাহরণ দিতে গিয়ে মৎস্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, "পুঁটি, ট্যাংরা এবং বেলে মাছ চাষের জন্য রাজ্যে বিভিন্ন জায়গায় তৈরি হয়েছে 'অভয় পুকুর'। যেখানে শুধুমাত্র এই মাছগুলির চাষ করা হচ্ছে। এই ধরনের বিশেষ পুকুর এই মুহূর্তে রাজ্যে ৭টি আছে। আরও পুকুর ভবিষ্যতে তৈরি করা হবে।"
রাজ্যে যে মাছগুলির চাহিদা তুঙ্গে থাকে এবং সাধারণ মাছের থেকে বেশি দামে বিক্রি হয় তার মধ্যে শিং এবং মাগুর অন্যতম। এই দুটি মাছ কোথাও কোথাও কেজি প্রতি হাজার টাকা দামেও বিক্রি হয়। যথেষ্টই চাহিদা থাকায় বাজারে এই দুই মাছ বিক্রি নিয়ে বিক্রেতাদের অনেকটাই নিশ্চিত থাকতে দেখা যায়। রাজ্য সরকার এবার নিজেই উদ্যোগ নিয়েছে এই মাছ চাষ করার। এবিষয়ে বিপ্লব রায় চৌধুরী বলেন, "বাজারে এই মাছ আমরা নিজেরাই সরবরাহ করব। ইতিমধ্যেই এই মাছের চাষ চলছে। ওজন ২৫০ গ্রাম হলেই বাজারে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।"
