মিল্টন সেন: বৈদ্যবাটি শেওড়াফুলি কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের পরিচালকমন্ডলীর ভোটে জয়ী হল তৃণমূল। পরাজিত বাম-কংগ্রেস জোট। খাতাই খুলতে পারল না রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। ৪২-২ আসনের ব্যবধানে বিপুল জয় লাভ করল তৃণমূল কংগ্রেস।
রবিবার সকাল দশটা থেকে শুরু হয় ভোটগ্রহণ পর্ব। বৈদ্যবাটি শেওড়াফুলি এবং ভদ্রেশ্বরে শহরের মোট নয়টি স্কুলে ভোটগ্রহণ চলে। ভোটদাতা ব্যাঙ্কের প্রায় ১৩ হাজার সদস্য। এদিন সকাল থেকেই কড়া পুলিশি পাহারার মধ্যে দিয়ে শুরু হয় ভোটগ্রহণ। ১৮টি কেন্দ্রে মোট ৯১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তার মধ্যে ৪৪ জন প্রতিনিধি নির্বাচিত হন। আগে থেকেই আটটি আসনে বীনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হন তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থীরা। নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হয় ভোটগ্রহণ।
ভোটদান পর্ব শেষ হয় দুপুর তিনটে নাগাদ। ফল বেরোতেই দেখা যায় তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থীরা ৪২টি আসনে জয়ী হয়েছে। দু'টি আসনে জয়ী হয়েছে বাম-কংগ্রেস জোট। ফলাফল ঘোষণার পরই জয়ী প্রার্থীদের নিয়ে সবুজ আবির খেলায় মেতে ওঠেন তৃণমূল কর্মীরা।
এই প্রসঙ্গে হুগলি শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অরিন্দম গুইন বলেন, ''ধন্যবাদ জানাই কোঅপারেটিভ ব্যাঙ্কের সমস্ত সদস্যদের। যাঁরা তৃণমূলের উপর ভরসা বিশ্বাস রেখেছেন। ভোটকে কেন্দ্র করে সকাল থেকে মানুষের মধ্যে উন্মাদনা ছিল যথেষ্টই। মানুষ বুঝে গিয়েছে ৩৪ বছর যে দলটা পশ্চিমবঙ্গে ছিল সেই বামফ্রন্ট সরকার মিথ্যাবাদী ও অত্যাচারের সরকার। আর যে সরকার কেন্দ্রে আছে, সেই সরকার মানুষকে কথা দিয়ে কথা রাখে না। বাংলার মানুষের টাকা আটকে রাখে। তাই বাংলার মানুষ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে।''
