আজকাল ওয়েবডেস্ক: নিজের লোকসভা কেন্দ্র ডায়মন্ড হারবার-এ কর্মী ও সমর্থকদের সঙ্গে বিজয়া সম্মেলনে মিলিত হলেন ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ তথা সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কর্মীদের শুভেচ্ছা বিনিময়ের পাশাপাশি ২০২৬ এর বিধানসভা নির্বাচনের রণকৌশল নিয়ে আলোচনা করেন তিনি । সোমবার বিকেল ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের আমতলায় এই সম্মেলন আয়োজিত হয়। অনুষ্ঠানে কর্মীদের সঙ্গে মিলিত হন তিনি। সাংসদ হিসেবে অভিষেক প্রতি বছর আমতলায় তাঁর অফিসে বিজয়ার শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। ২০২৬-এর বিধানসভা নির্বাচনকে মাথায় রেখে তিনি জানান, প্রতিটি বুথে কর্মীদের পৌঁছে যেতে হবে। বুথ স্তরের সংগঠনকে আরো শক্তিশালী এবং মজবুত করতে হবে। এছাড়াও ভোটার তালিকা সংশোধন বা এসআইআর নিয়ে তিনি কর্মীদের সতর্ক করেন। প্রতিটি বিধানসভা ধরে ভোটার তালিকা সংক্রান্ত বিষয়গুলি নিয়ে কর্মীদের খেয়াল রাখতে এবং সেইসঙ্গে একজন প্রকৃত ভোটারের নামও যাতে তালিকা থেকে বাদ না যায় সেই বিষয়ে সতর্ক থাকার বিষয়ে অভিষেক নির্দেশ দিয়েছেন বলে ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে।

 

এর পাশাপাশি ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলার পুলিশ কর্মীদেরও শুভেচ্ছা জানান তিনি। এই লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত বিধায়ক, জেলা পরিষদ সদস্য–সহ বিভিন্ন স্তরের তৃণমূলের জনপ্রতিনিধির পাশাপাশি সাধারণ মানুষের সঙ্গেও সৌজন্য বিনিময় করেন তিনি। বিজয়া সম্মেলনের পোস্টারে লেখা রয়েছে, মায়ের আশীর্বাদে মুছে যাক গ্লানি, বিনাশ হোক অশুভ শক্তির। এই মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকেই জেলায় জেলায় তৃণমূলের বিজয়া সম্মেলন শুরু হয়েছে। এদিনের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের ৭টি বিধানসভার বিধায়ক। ছিলেন দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলা পরিষদের তৃণমূল সদস্যরা । সেইসঙ্গে ছিলেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব।

আরও পড়ুন: কুমারী মেয়ের সঙ্গে সঙ্গম করলেই সেরে যাবে মানসিক রোগ! মহীশূরে কুসংস্কারের বলি একের পর এক নাবালিকা

দলের সর্বোচ্চ পর্যায়ের নির্দেশে কলকাতা ও জেলাজুড়ে এই বিজয়া সম্মেলনে একদিকে যেমন হচ্ছে বিজয়ার শুভেচ্ছা বিনিময় পাশাপাশি আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে কীভাবে বিরোধীদের রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করা হবে সেই বিষয়েও হচ্ছে আলোচনা। যাতে করে কর্মীরা আত্মতুষ্টিতে না ভোগেন সেই বিষয়ে জেলায় জেলায় কর্মীদের সতর্ক করছেন নেতারা। সম্প্রতি বর্ধমানের একটি বিজয়া সম্মেলনে পূর্ব বর্ধমানের জেলা সভাপতি ও প্রবীণ বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘সামনে বিধানসভার ভোট। আমরা ২০১৯ সালের বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভায় হেরেছিলাম। ২০২৪ সালে আবার জিতেছি। আগে সিপিএমের সঙ্গে লড়াই ছিল, তখন শত্রুকে চোখে দেখা যেত। এখন ছায়ার সঙ্গে লড়তে হয়, তাই লড়াইটা অনেক কঠিন।’ বর্ধমানের ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাংসদ শর্মিলা সরকার, পুরপ্রধান পরেশ সরকার, বিধায়ক খোকন দাস, জেলা যুব সভাপতি রাসবিহারী হালদার, মহিলা নেত্রী নীলা মুন্সি-সহ একাধিক শীর্ষ নেতা।