আজকাল ওয়েবডেস্ক: ফের ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা উত্তরবঙ্গে। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ৩০০ মিটার গভীর পাহাড়ি খাদে গড়িয়ে পড়ল গাড়ি। মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন এক পঞ্চায়েত সদস্য-সহ তিনজন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রবিবার গভীর রাতে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। একটি গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ৩০০ মিটার গভীর খাদে পড়ে যায়। সিটং ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য সহ তিনজনেই ঘটনাস্থলেই মারা যান।
সূত্রের খবর, রবিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে সিটং-লাটপানঞ্চর-বাগোড়া সড়কের মানা এলাকায় এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। সোমবার সকালে স্থানীয় বাসিন্দারা রাস্তার ধারে দুর্ঘটনার চিহ্ন দেখতে পেয়ে তড়িঘড়ি পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহত ও আহতদের খাদ থেকে উদ্ধার শুরু করে।
পুলিশ জানিয়েছে, নিহতদের নাম ব্রিগেন ভুজেল, রূপেন খাওয়াস এবং রমেশ গুরুং। সিটং ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য ছিলেন ব্রিগেন ভুজেল।
স্থানীয়দের অভিযোগ, রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরে খুবই খারাপ অবস্থায় রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পূর্ত বিভাগের অধীনে থাকা এই রাস্তাটির যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণের অভাবের কারণে এই ধরণের দুর্ঘটনার আশঙ্কা বারবার বেড়ে চলেছে। দুর্ঘটনার তীব্রতার কারণে, পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। গভীর খাদ থেকে গাড়িটি উদ্ধারের জন্য একটি ক্রেনও ব্যবহার করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরে অক্টোবরেই উত্তরবঙ্গে আরেকটি ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা ঘটেছিল। মিরিক যাওয়ার পথে গভীর খাদে গড়িয়ে পড়ে যায় যাত্রীবাহী গাড়ি। প্রাণ হারিয়েছিলেন চার জন যাত্রী। আহত হয়েছিলেন আরও ১৫ জন। তাঁদের উদ্ধার করে নকশালবাড়ি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল।
পানিট্যাঙ্কির ইন্দো-নেপাল সীমান্ত থেকে যাত্রীবাহী গাড়িটি মিরিকের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল। গাড়িটিতে চালক-সহ মোট ১৯ জন ছিলেন। নেপালের কাঁকরভিটা থেকে গাড়িটি বিকল্প রাস্তা পানিঘাটা হয়ে বেলগাছি চা বাগান হয়ে মিরিকের উদ্দেশে রওনা দেয়। ওই রাস্তাটি খুব দুর্গম ও দুর্ঘটনাপ্রবণ। পুলিশ সূত্রে খবর, পুটুংয়ের কাছে নলডারায় গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গভীর খাদে পড়ে যায়৷
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পাহাড়ের উপর থেকে একটি গাড়ি নেমে আসছিল। অন্যদিকে, দু্র্ঘটনাগ্রস্ত গাড়িটি উপরের দিকে উঠছিল। সেই সময়েই ওই গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় চার জনের৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় মিরিক থানার পুলিশ। আহত ১৫ জনকে উদ্ধার করে নকশালবাড়ি হাসপাতালে পাঠানো হয়। গাড়িটিতে অনেকেই নিত্যযাত্রী ছিলেন। কেউ কেউ দীপাবলির ছুটি কাটাতে যাচ্ছিলেন।
