আজকাল ওয়েবডেস্ক: চার প্রহরের মহাযোগে শুরু হবে দক্ষিণেশ্বরে মা ভবতারিণীর পুজো। মঙ্গলবার মন্দির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার সময় পুজো শুরু হবে। ১৭০ বছরের প্রথা মেনে পুজোপাঠ সম্পন্ন করা হবে। 

ভক্তপ্রাণ বাঙালির কাছে তারাপীঠ বা কালীঘাটের পাশাপাশি দক্ষিণেশ্বরের মা ভবতারিণীর স্থান সমান গুরুত্বপূর্ণ। প্রতি বছর কার্তিক মাসের অমাবস্যা তিথিতে ভবতারিণীর পুজো ঘিরে ভক্তদের মধ্যে উৎসাহের ঢল নামে। চলতি বছর দক্ষিণেশ্বরের পুজো ১৭০ বছরে পা রাখল। প্রথমে অবশ্য মা কালীর পুজো নামেই তা পরিচিত ছিল। ঠাকুর রামকৃষ্ণ পরমহংস দেব মা কালীকে ভবতারিণী মনে করেছেন। তারপর থেকে দক্ষিণেশ্বরের কালী মায়ের পুজো মা ভবতারিণী পুজো নামেই স্বীকৃতি পেয়েছে। সারা বছর ধরে দক্ষিণেশ্বরের কালীমন্দিরে পুজো হয়। কিন্তু কার্তিক মাসের অমাবস্যা তিথির পুজো বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। শাক্ত, বৈষ্ণব ও শৈব তিন মতেই পুজো হয়। মন্দির কর্তৃপক্ষের মতে, দক্ষিণেশ্বরের মন্দির হল ত্রিবেণী সঙ্গম। তাই, শৈব মতে শিব মন্দিরে পুজো হয়। আবার বৈষ্ণব মতে রাধা কৃষ্ণের পুজো এখানে হয়। শক্ত মতে ভবতারিণীর পুজো তো রয়েছেই। 

কার্তিক মাসের অমাবস্যা তিথির পুজোকে ভক্তরা বিশেষ গুরুত্ব দেন। কথিত আছে, ঠাকুর রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব চার প্রহরে মহাযোগে মা ভবতারিণীর পুজো শুরু করতেন। সেই রীতি আজও মেনে চলা হয়। আজও চার প্রহরেই মন্দিরের পুজো শুরু হয়। দক্ষিণেশ্বর মন্দির পরিচালন কমিটির সম্পাদক কুশল চৌধুরী বলেন, ‘‌চলতি বছর রাত সাড়ে ১০টার সময় পুজো শুরু হবে। পুজোর অঞ্জলি শুরু হবে রাত সাড়ে তিনটের সময়। তারপরে পর্যায়ক্রমে চলবে মঙ্গল আরতি ও ভোগ নিবেদন। ১৭০ বছরের প্রীতি মেনেই মা ভবতারিণী পুজো পাঠ হবে।’‌ রাতের দিকে দক্ষিণেশ্বরের মন্দিরে যাওয়া বা ফেরার যোগাযোগ ব্যবস্থা কিছুটা হলেও জটিল। কালীপুজো উপলক্ষে অবশ্য যোগাযোগ ব্যবস্থার কিছু পরিবর্তন হচ্ছে। যানবাহন ও মেট্রো পরিষেবা বাড়ানো হচ্ছে। রাতে দক্ষিণেশ্বরের মন্দিরে যাওয়া আসার জন্য সরকারি ও বেসরকারি পরিবহন ব্যবস্থা সচল থাকবে। পাশাপাশি পুজোর কয়েকদিন রাতের দিকে মেট্রো পরিষেবার সময়সীমাও বাড়ানো হচ্ছে।