আজকাল ওয়েবডেস্ক: রেল আবাসনে রেল কর্মী প্রদীপ চৌধুরীর গুলিবিদ্ধ দেহ উদ্ধার। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। আসানসোলের চিত্তরঞ্জন রেল শহরের ঘটনা। ডিসিপি পশ্চিম সন্দীপ কররা বলেন, "এটি নিছক আত্মহত্যা না খুন, তা নিয়ে তদন্তে পুলিশ। মাস কয়েক আগে এই আবাসনেই দুস্কৃতিদের গুলিতে খুন হন তাঁর স্ত্রী।" 

আরও পড়ুন: অবশেষে টনক নড়ল কেন্দ্রের, বিষাক্ত কফ সিরাপে দেশজুড়ে শিশুমৃত্যুর ঘটনায় উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক স্বাস্থ্যমন্ত্রকের

লক্ষ্মী পূজার আগের সন্ধ্যায় রেল শহর চিত্তরঞ্জনে আবারও এহেন বড় অঘটন। আচমকা দুষ্কৃতিদের গুলিতে ঘটনাস্থলেই মারা যান রেল কর্মী প্রদীপ চৌধুরী (কুচা)। খবর মারফত জানা গিয়েছে, বেশ কিছুদিন আগে বাসন্তী পুজোর দিন এই প্রদীপ চৌধুরীর ২৮ নম্বর রাস্তার কোয়ার্টার্সে তাঁর স্ত্রীর গলাকাটা দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছিল। ‌ 

আরও পড়ুন: ছবি তোলাই লক্ষ্য! রোগীকে বিস্কুট দিয়েই ফের কেড়ে নিলেন বিজেপি নেত্রী, ভিডিও ঘিরে তুমুল বিতর্ক

সেই ঘটনায় প্রদীপ বাবুকে চিত্তরঞ্জন পুলিশ বহুবার জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল। আজ, ৫ অক্টোবর সন্ধ্যে নাগাদ সেই প্রদীপবাবুর গুলিবিদ্ধ দেহ উদ্ধার হল চিত্তরঞ্জন শহরের নর্থ এলাকার ৬৪ নম্বর রাস্তার ২৫ বি কোয়ার্টার্স থেকে। ‌পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে এই কোয়ার্টার্সে প্রদীপবাবু ও তার পুত্র দেবদিত্য থাকছিলেন। আজ দুপুরের পর দেবদিত্য বাইরে বেরিয়েছিলেন এবং সন্ধ্যা নাগাদ ফিরে দেখেন কোয়ার্টার্সের দরজা বন্ধ। বহুক্ষণ ডাকাডাকি করেও সাড়া না পেয়ে তিনি পুলিশকে খবর দেন। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ও স্থানীয় ভাইস ওয়ার্ডেন এলাকায় পৌঁছান এবং দরজা ভেঙে দেখেন ভেতরের ঘরের বিছানায় প্রদীপবাবুর গুলিবিদ্ধ দেহ পড়ে আছে। তিনি নিজেই নিজেকে গুলি করলেন নাকি অন্য কোনও ঘটনা এর পিছনে আছে, বর্তমানে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। চিত্তরঞ্জন পুলিশ প্রাথমিকভাবে এই মৃত্যুর ঘটনা খতিয়ে দেখছে বলে জানিয়েছে। ঘটনার জেরে তল্লাশি জারি রয়েছে৷