আজকাল ওয়েবডেস্ক: মহিষাদলে হনুমানের আতঙ্ক।হনুমানের হামলায় আক্রান্ত প্রায় ১৫ জন। দু'টি হনুমান দাপিয়ে বেড়াচ্ছে গোটা এলাকায়। এর মধ্যে একটি ক্ষ্যাপা হনুমান রয়েছে বলে বনদপ্তর সূত্রে খবর। আতঙ্কে স্কুল ছাত্রছাত্রীরা স্কুলে যেতে পারছে না। বাইরেও বেরোতে পারছেন না স্থানীয়রা। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহতরা। দুই হনুমানকে ধরতে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছেন বনকর্মীরা।

 

মহিষাদলের কাপাসএড়িয়াতে হনুমানের অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকার মানুষ। খাবারের খোঁজে গ্রামে সবজি ক্ষেতে উৎপাত চালাচ্ছে দু'টি হনুমান। বাধা দিতে গিয়ে আক্রান্ত হচ্ছেন এলাকার মানুষ। যা ঘিরে গোটা এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। ইতিমধ্যে হনুমানের হামলায় ১৫ জন আক্রান্ত হাসপাতাল চিকিৎসাধীন রয়েছেন। 

 

হনুমানের অত্যাচারের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন বনদপ্তরের কর্মীরা। স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, বনদপ্তরের রেঞ্জ অফিসাররা এসে একটিও হনুমানকে খাঁচাবন্দি করতে পারেননি। তারা পাকা কলা খেয়ে পালিয়ে যাচ্ছে। মহিষাদল ব্লকের বিডিও বরুণাশিস সরকার জানান, দলছুট হনুমানের দল একের পর এক গ্রামবাসীদেরকে কামড়ে, আঁচড়ে রক্তাক্ত করছে। ছোট বাচ্চা দেখলেই পেছন থেকে হামলা চালাচ্ছে। ফরেস্ট রেঞ্জের অফিসারদেরকে পাঠানো হয়েছে ঘটনাস্থলে। 

 

শিশু শিক্ষা কেন্দ্র আইসিডিএস স্কুল কলেজের ছাত্রছাত্রীরা স্কুল-কলেজে যেতে পারছে না। আতঙ্কে বাইরে বেরোতে পারছেন না গ্রামবাসীরা। বেশ কয়েকদিন ধরে চলছে হনুমানের তাণ্ডব। এখনও পর্যন্ত আক্রান্ত চার শিশু ও সাত মহিলা, পুরুষ। আজ বনদপ্তরের কর্মীরা এসে হনুমান ধরার তোরজোড় শুরু করেছেন। গ্রামবাসী সৌমিত্র মাইতি জানান, দু'টো হনুমান তাণ্ডব চালাচ্ছে তার মধ্যে একটি ক্ষ্যাপা হনুমানও রয়েছে। কাউকে ফাঁকায় দেখলেই হামলা চালাচ্ছে। সবজি ক্ষেত নষ্ট করছে। দু'জনকে গুরুতর আহত করেছে।