আজকাল ওয়েবডেস্ক: শহর থেকে মফস্বল, দোলের আগে বাজারে ক্রমশই বাড়ছে ভেষজ আবির বা রঙের চাহিদা। চামড়ার সংক্রমণ বাঁচাতে অধিকাংশ লোকই ঝুঁকে পড়ছেন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের তৈরি ভেষজ আবির বা রঙের দিকে। দোলের আগে স্বাভাবিকভাবেই ভিড় বাড়ছে এই রঙ বা আবিরের দোকানে। 

 

 

কিন্তু আদৌ কি এই ভেষজ রঙ বা আবির থেকে চামড়ার সংক্রমণের আশঙ্কা থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত থাকা যায়? রাজ্যের অন্যতম বিশিষ্ট চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ এবং কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হসপিটালের চর্মরোগ বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডাঃ রমেশচন্দ্র ঘরামি বলেন, 'এটা ঠিক যে কেমিক্যাল মিশ্রিত আবির বা রঙের থেকে সংক্রমণের যতটা সম্ভাবনা থাকে ভেষজ আবির থেকে সেই সম্ভাবনা অতটা থাকে না। কিন্তু এটা ভাবার কোনও কারণ নেই যে কারোরই সংক্রমণ হবে না। কারণ, সকলের চামড়া সমান নয়। কারোর চামড়ায় সংক্রমণের ঝুঁকিটা বেশি থাকে আবার কারোর কম থাকে। ফলে যার ক্ষেত্রে বেশি থাকে তার ক্ষেত্রে ভেষজ রঙ বা আবির থেকেও সংক্রমণ হতে পারে।' 

 

ইতিমধ্যেই বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার তরফেও ভেষজ রঙ বা আবির তৈরি করে বাজারজাত করা হচ্ছে। বর্ধমানের একটি সংস্থার তৈরি আবির ইতিমধ্যেই অনলাইনে বিক্রির জন্য জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। সংস্থার পক্ষে আবির তৈরির প্রশিক্ষক প্রতনু রক্ষিত বলেন, 'সিন্থেটিক রঙের ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করাই আমাদের মূল লক্ষ্য। ঘরে বসেই খুব সহজে ও কম খরচে এই আবির তৈরি করা সম্ভব।' তাঁর কথায়, দাম একটু বেশি হলেও কলকাতা বা দূর্গাপুরের বাসিন্দারা এই আবির পছন্দ করছেন। 

 

তিনি আরও জানান, এই আবির তৈরির মূল উপকরণ হল অ্যারারুট। তার সঙ্গে মিশ্রিত করা হচ্ছে নিত্য ব্যবহার্য নানান সবজি।