আজকাল ওয়েবডেস্ক: আসছে পুজো। সেইসঙ্গে খুলছে পর্যটকদের জন্য বন্ধ থাকা উত্তরবঙ্গের জঙ্গল। ব্যস্ততা বেড়েছে হোটেল ও হোম স্টে'র মালিকদের। চলছে ঘর দুয়ার ঝারপোছ। সেইসঙ্গে রঙ করে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে গ্যারেজে বা বাড়িতে পড়ে থাকা জঙ্গল সাফারির জন্য জিপসি গাড়িগুলি। 

বন্যপ্রাণীদের প্রজননের সময় হল বর্ষাকাল। তাই প্রতি বছরই বর্ষা শুরু হলে ১৬ জুন থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জঙ্গল বন্ধ রাখা হয়। এই সময় জঙ্গল টহল বা অন্য দরকারে বন দপ্তরের কর্মী, অফিসাররা জঙ্গলে ঢুকলেও সাধারণের প্রবেশ থাকে নিষিদ্ধ। 

উত্তরবঙ্গের যে জঙ্গলগুলিতে পর্যটকরা ভিড় করেন সেগুলি গরুমারা ও জলদাপাড়া। পর্যটনের মরসুমে এই দুটি জঙ্গলের ওপর অনেকের জীবন ও জীবিকা নির্ভর করে। জঙ্গল সাফারির জন্য জিপসি ছাড়াও পর্যটকদের জন্য বহু বেসরকারি গাড়ি পর্যটক নিয়ে ছুটে বেড়ায় ডুয়ার্সের এপ্রান্ত থেকে ওই প্রান্তে। 

আর যেহেতু পুজোয় বেড়াতে যেতে এক বিরাট সংখ্যক বাঙালি বেছে নেন উত্তরবঙ্গকে তাই একসময়ে পর্যটকদের ভিড়ে উপচে পড়ে উত্তরবঙ্গ। জঙ্গলে সাফারির জন্য পড়ে লম্বা লাইন। সকাল থেকে দুপুর, জঙ্গল সাফারির জন্য জিপসি চালকদের থাকতে হয় ব্যস্ত। 

আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর পর্যটকদের সামনে ফের খুলে যাচ্ছে জঙ্গলের দরজা। ফলে খুশি জিপসি মালিকরা, খুশি জিপসি চালকরা। গ্যারাজ বা বাড়ির উঠোনে পড়ে থাকা জিপসিকে আবার ঝারপোছের সঙ্গে রঙ করে সাজিয়ে তুলছেন তাঁরা। আবার শুরু হবে তাঁদের জঙ্গলে যাতায়াত।