আজকাল ওয়েবডেস্ক: চলতি ডিসেম্বরেই নদিয়ায় জেলা সফরে আসতে চলেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। এমনটাই খবর মিলেছে নদিয়া জেলা প্রশাসন সূত্রে।
জানা গিয়েছে, ডিসেম্বর মাসেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কৃষ্ণনগর গভর্নমেন্ট কলেজের মাঠে একটি জনসভা করবেন। তবে জনসভা ছাড়াও তিনি প্রশাসনিক বৈঠক করবেন কিনা সেটা এখনও জানা যায়নি।
মুখ্যমন্ত্রীর সম্ভাব্য এই জেলা সফরকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই জেলাজুড়ে প্রশাসনিক তৎপরতা বাড়তে শুরু করেছে। প্রশাসন জানিয়েছে, আগামী ১১ ডিসেম্বর কৃষ্ণনগর গভর্নমেন্ট কলেজ মাঠেই মুখ্যমন্ত্রীর জনসভা অনুষ্ঠিত হবে।
মুখ্যমন্ত্রীর জনসভাকে ঘিরে স্থানীয় স্তরে প্রস্তুতি এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা সরেজমিনে পর্যালোচনা করতে এদিন কৃষ্ণনগর গভর্নমেন্ট কলেজের মাঠ পরিদর্শনে আসেন পুলিশের এডিজি (সাউথ বেঙ্গল) সহ রাজ্য পুলিশের একাধিক উচ্চপদস্থ আধিকারিক।
পরিদর্শনের সময় কর্মকর্তারা জনসভার সম্ভাব্য মঞ্চ তৈরির জায়গা, সাধারণ মানুষের প্রবেশ এবং প্রস্থানের পথ, ভিড় নিয়ন্ত্রণের কৌশল, জরুরি পরিস্থিতিতে করণীয়, নিরাপত্তা চৌকি এবং সিসিটিভি বসানোর মতো বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় খতিয়ে দেখেন।
সভাস্থল পরিদর্শনের উপস্থিত ছিলেন নদিয়া জেলা পুলিশ সুপারসহ জেলার অন্যান্য পুলিশ আধিকারিকরা। জনসভার দিন ভিড়ের পরিমাণ এবং নিরাপত্তাজনিত ঝুঁকি বিবেচনা করে কীভাবে নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হবে, মুখ্যমন্ত্রীর প্রবেশের রুট থেকে বাফার জোনের অবস্থান সব কিছুই সূক্ষ্মভাবে যাচাই করা হয়।
পুলিশ প্রশাসন জানিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর জনসভার মতো উচ্চপর্যায়ের সরকারি অনুষ্ঠানে নিরাপত্তা শিথিলের কোনও সুযোগ নেই। সম্ভাব্য সব ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে বহুস্তরীয় নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হবে।
পাশাপাশি ভিড় নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন এবং নজরদারির জন্য ড্রোন ব্যবহারের সম্ভাবনাও পর্যালোচনা করা হচ্ছে।
শীঘ্রই জেলা প্রশাসন ও পুলিশ যৌথভাবে বিস্তৃত প্রস্তুতিমূলক বৈঠক করবে, যেখানে পরিবহন দপ্তর, মেডিক্যাল টিম, দমকল, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা দপ্তরসহ বিভিন্ন শাখার প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন।
এদিকে মুখ্যমন্ত্রীর সফরের খবর ছড়িয়ে পড়তেই কৃষ্ণনগর শহরে উৎসাহের আবহ তৈরি হয়েছে। রাজনৈতিক মহল থেকে সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীদের মধ্যেও এ নিয়ে আলোচনার ঝড় উঠেছে।
জনসভাকে কেন্দ্র করে এলাকার দোকানপাট, রাস্তা ও আশেপাশের এলাকায় উৎসবমুখর পরিবেশ চোখে পড়ছে। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য সরাসরি শোনার সম্ভাবনায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যেও উত্তেজনা তুঙ্গে।
সব মিলিয়ে, ডিসেম্বরের জনসভাকে কেন্দ্র করে কৃষ্ণনগরে ইতিমধ্যেই প্রশাসনিক ব্যস্ততা ও জনমানসে প্রত্যাশার বিশেষ স্রোত জেগে উঠেছে।
