আজকাল ওয়েবডেস্ক: রাজ্যে এসআইআর চলাকালীন একাধিক মৃত্যুর খবর মিলেছে। মৃতদের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে রাজ্য সরকারও। এবার মৃতদের আর্থিক সাহায্য করা হবে এমনটাই ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।

যে সমস্ত বিএলও-দের মৃত্যু হয়েছে তাঁদের পরিবারদের দু’লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে। ইতিমধ্যেই দুটি পরিবারকে দেওয়া হয়েছে। অনেকে সম্মানের সঙ্গে নিতে চান না।

যাঁরা নিতে চাইবেন তাঁদের দেওয়া হোক। যাঁরা অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছে তাঁদের ১ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে।

তিনি জানান, এসআইআরে যাঁদের মৃত্যু হয়েছে বা স্ট্রোকের কারণে হাসপাতালে ভর্তি আছেন অনেকে। মুখ্যমন্ত্রী জানান, ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। ১৩ জন হাসপাতালে আশঙ্কাজনক বিএলও সমেত। আত্মহত্যার চেষ্টা করে আশঙ্কাজনক অবস্থায় অনেকে ভর্তি।

যাঁরা মারা গিয়েছেন তাঁদের পরিবারকে দু’লক্ষ টাকা, যাঁরা আহত তাঁদের ১ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে। সরকার পরিবারগুলির পাশে আছে।

মঙ্গলবারের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন দফতরের সচিব এবং মন্ত্রীরা। দুপুর দেড়টার কিছু পরে শুরু হয় বৈঠক। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে বনমন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদা ভিডিওর মাধ্যমে উন্নয়নের পাঁচালি পেশ করেন।

এরপরেই ছ’টি ভাষায় রিপোর্ট কার্ডের উদ্বোধন করেন মমতা। তিনি জানান, রিপোর্ট কার্ডের তথ্য এখনও সম্পূর্ণ হয়নি। এক সপ্তাহের মধ্যে তা সকলের কাছে পৌঁছে যাবে।

মমতা বলেন, “২০১১ সালে আমরা যখন ক্ষমতায় এসেছিলাম, তখনের তুলনায় অর্থনৈতিক সাফল্য (জিএসডিপি) বেড়ে এখন প্রায় ২০ লক্ষ ৩১ হাজার কোটি টাকায় পৌঁছেছে।”

তিনি জানান, রাজ্যের কর এবং রাজস্ব বেড়েছে ৫.৩৩ গুণ বেড়েছে। এ ছাড়াও, ক্যাপিটাল এক্সপেন্ডিচার বেড়েছে ১৭.৬৭ শতাংশ। এ ছাড়াও, ক্যাপিটাল এক্সপেন্ডিচার বেড়ছে ১৭.৬৭ শতাংশ। সোশ্যাল সেক্টর এক্সপেন্ডিচার বেড়েছে ১৪.৪৬ শতাংশের বেশি।

কৃষি ক্ষেত্রে বেড়েছে ৯.১৬ গুণ বেশি। ফিজ়িক্যাল সেক্টর এক্সপেন্ডিচার বেড়েছে ৬.৯৩ গুণ বেশি। ২০১৩ থেকে ২০২৩ সাল অর্থাৎ ১০ বছরে ১০ বছরে এক কোটি ৭২ লক্ষ মানুষকে দারিদ্রসীমার বাইরে আনা হয়েছে।

বেকারত্ব এবং কর্মসংস্থানের পরিসংখ্যানও তুলে ধরেছেন তিনি। মমতা বলেন, “রাজ্যে দু’কোটিরও বেশি মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। সারা দেশে আমরা বেকারত্ব হার আমরা ৪০ শতাংশ কমিয়েছে।”

রাজ্যে ছ’টি অর্থনৈতিক করিডোর তৈরি হচ্ছে বলে জানান মমতা। তিনি বলেন, ‘‘এখানে আরও এক লক্ষ কর্মসংস্থান হবে।’’ দেউচা পাচামিতেও এক লক্ষ কর্মসংস্থান হবে, আশাবাদী মমতা।

তিনি আরও জানান, রাজ্যে মেট্রোর কোচ, লোকাল কোচ, ভারী যন্ত্রপাতি, জাহাজ তৈরি হচ্ছে। সিমেন্ট, ইস্পাত কারখানার কথা উল্লেখ করেন মুখ্যমন্ত্রী।

তিনি আরও বলেন, ‘‘ক্ষুদ্র এবং মাঝারি শিল্পে রাজ্যে এক কোটি ৩০ লক্ষের বেশি মানুষ কাজ করছেন। ৪২ লক্ষ ছেলেমেয়েকে স্কিল ট্রেনিং দেওয়া হয়েছে।’’

গোটা ভারতের মডেল বাংলা, এমনই দাবি করেন মমতা। তাঁর কথায়, ‘‘আমরা ১২ লক্ষ স্বনির্ভর গোষ্ঠী তৈরি করেছি, যা গোটা ভারতের মধ্যে বাংলা মডেল।’’