আজকাল ওয়েবডেস্ক: জমি নিয়ে ঝগড়া। সেই ঝগড়ার প্রতিশোধ নিতেই কলকাতা পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষকে খুনের চক্রান্ত। শনিবার অভিযুক্ত আফরোজ ওরফে গুলজারকে গ্রেপ্তার করার পর প্রাথমিকভাবে এই তথ্য উঠে এসেছে পুলিশের সামনে। বিশদে জানতে তাকে আরও জেরা করবে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আফরোজের বাড়ি আনন্দপুর থানার গুলজার কলোনীতে। এলাকায় তার নিজস্ব একটি জমি আছে। পাশেই হায়দার নামে আরেকজনেরও কিছুটা জায়গা আছে। সেখানে হায়দার আবাসন তৈরি করছে। পুলিশের একটি সূত্র জানায়, আফরোজ অভিযোগ করেছে হায়দার তার কিছুটা জমি দখল করে নিয়েছে। হায়দার কাউন্সিলর সুশান্তর ঘনিষ্ঠ বলে আফরোজের দাবি। তার জন্য সে জমি সমস্যার সমাধান চাইলেও কোনও কাজ হয়নি বলে তার অভিযোগ।
আফরোজ ভাবতে শুরু করে ঘটনার পিছনে সুশান্তর হাত থাকতে পারে। এই ক্ষোভ থেকেই তার মনে প্রতিশোধের ইচ্ছা জাগে। সে যোগাযোগ করে মুঙ্গেরের বাসিন্দা শেখ ইকবালের সঙ্গে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সুশান্তকে খুনের জন্য তার সঙ্গে ইকবালের ১০ লক্ষ টাকার চুক্তি হয়। এরপরেই কাউন্সিলরকে খুন করতে লোক পাঠায় ইকবাল। শুক্রবার সন্ধ্যায় সুশান্তকে গুলি করতে ঘটনাস্থলে পৌঁছেও যায় আততায়ী। কিন্তু শেষপর্যন্ত তার বন্দুক থেকে গুলি না বেরোনোর ফলে রক্ষা পান সুশান্ত।
এদিন কলকাতা পুলিশের থেকে মেসেজ পেয়ে পূর্ব বর্ধমানের পুলিশ সুপার সায়ক দাশ দুপুর ২টো ১৩ মিনিট নাগাদ গলসি থানাকে সতর্ক করেন। এরপর গাড়ি দাঁড় করিয়ে নাকা চেকিং শুরু করে পুলিশ। অবশেষে দুপুর ৩টে ১৮ মিনিট নাগাদ বিহার পালাতে গিয়ে উড়োচটিতে পুলিশের জালে ধরা পড়ে আফরোজ। গ্রেপ্তারির পর কলকাতা পুলিশকে জানানো হলে তারা এসে আফরোজকে নিয়ে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা হয়।
