আজকাল ওয়েবডেস্ক: করমণ্ডলের স্মৃতি উসকে ফের রেল দুর্ঘটনা। সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত এই দুর্ঘটনা প্রাণ কেড়েছে ১৫টি। আহতরা ভর্তি হাসপাতালে। ক্ষতিপূরণ, রেল মন্ত্রীর পদত্যাগের দাবির মাঝেই ফের প্রশ্ন উঠছে সাধারণের যাত্রা-নিরাপত্তা নিয়ে। কাঞ্চনজঙ্ঘার দুর্ঘটনার পর প্রশ্ন জাগছে, কিভাবে ঘটল এই দুর্ঘটনা? যান্ত্রিক বিভ্রাট? সিগন্যাল সমস্যা? নাকি দায়ী চালক? ইতিমধ্যে ,মালগাড়ির চালকের মৃত্যুও হয়েছে। তদন্ত চলছে কারণের খোঁজে। রেলের প্রাথমিক অনুমান, মালগাড়ির চালক সিগন্যাল দেখতে পাননি। সিগন্যাল উপেক্ষা করে গাড়ি চালিয়েছেন তিনি। সিগন্যাল ঠিক মতো দেখতে না পাওয়ার পরিস্থিতি কি ছিল? এই প্রশ্নের মাঝেই রেল বোর্ডের চেয়ারপার্সন জানিয়েছেন, মালগাড়িতে 'কবচ' ছিল না।
কী এই কবচ? এই কবচ হল রেলের সুরক্ষার জন্য এক ব্যবস্থা, প্রায় এক দশকের বেশি সময় ধরে এই ব্যবস্থা চালু রয়েছে দেশে। এই ব্যবস্থায় ইঞ্জিনের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয় ইলেকট্রনিক্স এবং রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি চিহ্নিতকরণ যন্ত্র। এই অংশটি মূলত ৩ অংশে বিভক্ত। একই লাইনে যদি দুটি ট্রেন চলে আসে, তাহলে কবচ থাকলে, সেটি ট্রেনকে সিগন্যাল দেয়। সিগন্যাল পেয়েই চালক সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু এই মালগাড়িতে কবচ ছিল না বলে জানা গিয়েছে ইতিমধ্যে। এর আগে করমণ্ডলের সময়েও প্রশ্ন উঠেছিল কবচ নিয়েই।