আজকাল ওয়েবডেস্ক: অক্ষয় তৃতীয়ার দিন উদ্বোধন হবে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের। তার আগেই দীঘার সমুদ্রে ভেসে এলেন কাঠের প্রভু জগন্নাথ। রবিবার বিকালে দিঘার মাইতি ঘাটের কাছে উদ্ধার হয়েছে জগন্নাথ দেবের একটি কাঠের মূর্তি। যা ঘিরে দিঘা জুড়ে যথেষ্ট ধর্মীয় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। 

জগন্নাথ ধামের উদ্বোধনের আগে এমনভাবে সমুদ্র থেকে জগন্নাথ দেবের কাঠের মূর্তি ভেসে আসাকে অনেকেই এক অলৌকিক ইঙ্গিত বা দৈব সংকেত বলে মনে করছেন। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী, এমন ঘটনা ঈশ্বরের উপস্থিতির বার্তা। যে সময়ে মন্দিরের উদ্বোধনের প্রস্তুতি চলছে, আর যে ঘাটে কাজ হচ্ছে সেই ঘাটেই এমনভাবে মূর্তি ভেসে ওঠা সত্যিই অনেক প্রশ্ন এবং ভাবনার জন্ম দিয়েছে। 

এ দিন বিকালে ওই মাইতি ঘাটের পাশেই আরও একটি ঘাট নির্মাণের কাজ করছিলেন শ্রমিকরা। তখনই সমুদ্রে ভাসতে ভাসতে তটে এসে পড়ে জগন্নাথ দেবের কাঠের মূর্তিটি। যা দেখে রীতিমতো অবাক হয়ে যান কর্মরত শ্রমিকরা। সামনেই মন্দির উদ্বোধন। তার আগে এমন ঘটনায় ভক্তি যেন আরও বেড়েছে তাদের। স্থানীয়দের আবেগ, দর্শনার্থীদের আগ্রহ- সব মিলিয়ে দীঘা এখন যেন এক পবিত্র স্থানের রূপ নিয়েছে বলে মনে করছেন ধর্ম প্রাণ হিন্দুরা।

গত বুধবারই নবান্ন থেকে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সমস্ত প্রস্তুতি সেরে ফেলেছেন মুখ্য়মন্ত্রী। নিরাপত্তা-সহ প্রতিটা বিষয় প্রশাসন তরফে আয়োজন করা হয়ে গিয়েছে। মন্দির উদ্বোধনের দিনে আয়োজন হয়েছে বিশেষ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের। আসবেন শিল্পপতি থেকে সাধারণ মানুষ সকলেই। প্রশাসনের অনুমান, প্রায় সাড়ে ছয় হাজার লোক আসতে পারেন সেখানে। এছাড়াও, শিল্পপতিদের জন্যও তৈরি করা হয়েছে একটি কনভেনশন সেন্টার। জরুরীকালীন পরিস্থিতির জন্য থাকবে জলের ব্যবস্থা, প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা এবং অ্যাম্বুল্যান্স।

উদ্বোধনের ঠিক একদিন আগে অর্থাৎ ২৯ তারিখ দিঘার জগন্নাথ মন্দিরে প্রভুর প্রাণ প্রতিষ্ঠা হবে। তারপর দিন ৩০ তারিখ দুপুর আড়াইটের সময় উদ্বোধন হবে মন্দিরের। ৩.১০ মিনিট নাগাদ হবে দ্বারোদ্ঘাটন। ঘোটা প্রক্রিয়ায় থাকবেন পুরীর রাজেশ দৈত্যাপতি।