আজকাল ওয়েবডেস্ক: নিম্নচাপের প্রকোপ। বুধবার সকাল থেকেই শুরু হওয়া বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়ায় চন্দননগর ও তার আশপাশের এলাকায় প্রভাব পড়েছে। গতকাল বিকেলের দিকে দমকা হাওয়ার ফলে মানকুন্ডু কানাইলাল পল্লীর বিশ্বের সবচেয়ে বড় জগদ্ধাত্রী মণ্ডপটি আচমকাই ভেঙে পড়ে। দুর্ঘটনায় আহত হন দর্শনার্থীরা। ঘটনার পরই দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মন্ত্রী ও চন্দননগরের বিধায়ক ইন্দ্রনীল সেন, চন্দননগর পুলিশ কমিশনারসহ প্রশাসনের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। তারা পরিস্থিতি পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেন এবং আহতদের চিকিৎসার সমস্ত দায়িত্ব গ্রহণের আশ্বাস দেন।
বুধবার সকাল থেকেই বজ্রবিদ্যুৎসহ প্রবল বৃষ্টি শুরু হতেই চন্দননগরের বিভিন্ন তোরণ, আলোর স্ট্রাকচারে প্রভাব পড়ে। বৃষ্টির জেরে চন্দননগরের একাধিক লাইটের স্ট্রাকচারের বাঁধন আলগা হয়ে পড়তে দেখা যায়। ফলে আশঙ্কা তৈরি হয়। পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে কমিটির উদ্যোক্তারা দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে নিরাপত্তার স্বার্থে আলোক সজ্জা খুলে ফেলেন, যাতে দর্শনার্থী ও পথচারীদের কোনও ধরনের দুর্ঘটনার কবলে পড়তে না হয়। ঝড়ের প্রকোপ থেকে বাঁচার জন্য খুলে ফেলা হচ্ছে উঁচু উঁচু লাইটের গেট। চন্দননগর শহরের জগদ্ধাত্রী পূজার প্রত্যেকটি বারোয়ারি তাদের লাইটের গেট খুলতে ব্যস্ত, বেলা গড়াতেই চোখে পড়েছে তা।
আরও পড়ুন: 'জাস্টিস ফর প্রদীপ কর', আগরপাড়ায় অভিষেকের গলায় নয়া স্লোগান! কাল মিছিল
এই প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, বুধবার সকাল থেকেই মান্থার প্রভাবে ঝড় বৃষ্টি শুরু হয়েছে হুগলি জেলা জুড়ে। বৃষ্টির আগে মাঝে মাঝেই আসছে দমকা ঝড়ো হাওয়া। সেই দমকা হাওয়াতেই ভেঙে পড়েছে নোনা তলা বারোয়ারির লাইটের ওভারহেড গেট। যদিও তাতে কোনরকম ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তবে বিগত কয়েকদিনের যে ঘটনা তার থেকে শিক্ষা নিয়েই চন্দননগর জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটি গুলি সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছেন তারা উঁচু উঁচু লাইটের গেটগুলিকে খুলে রাখবে।

পুলিশ সূত্রে খবর, ইতি মধ্যেই ১৮০ টি পুজো কমিটিকে পুলিশের তরফ থেকে নির্দেশ জানানো হয়েছে যাতে দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য তারা উঁচু আলোকসজ্জা গুলিকে নামিয়ে নেয়। এবং বাকি যা আলোকসজ্জা রয়েছে সেগুলির স্বাস্থ্য যাতে ভালো করে পরীক্ষা করা হয়।
অন্যদিকে, বুধবারেই সকালেই সামনে এসেছে অপর এক দুর্ঘটনা প্রসঙ্গ। ঠিক বৃষ্টি নামার আগে চন্দননগর কলুপুকুরে জগদ্ধাত্রী পুজোর মন্ডপের সামনে লরির ধাক্কায় মৃত্যু হয় এক বাইক আরোহীর। অষ্টমীর সকাল। চুঁচুড়ার মতিঝিলের দম্পতি তরুণ কান্তি দাস ও শিবানী দাস বাইক নিয়ে ঠাকুর দেখতে বেরিয়েছিলেন। কলুপুকুর পুজো মণ্ডপের সামনে তাদের বাইকে পিছন থেকে একটি লরি ধাক্কা মারে। দু'জনেই রাস্তায় পড়ে যান। বাইকের পিছনে বসে ছিলেন শিবানী দাস(৫২)। তিনি রাস্তায় পড়তেই তাঁর উপর দিয়ে লরি চলে যায়। স্থানীয়রা ছুটে যান। ততক্ষণে ঘটে গিয়েছে মারাত্মক বিপদ। পুলিশ লরি এবং চালককে আটক করেছে।
